পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४०२ রবীন্দ্র-রচনাবলী এই ছবিগুলাকে আজ মিলাইয়া দেখিলে হয়তো ইহাদেৱী কঁচা লাইন ও ঝাপসা রঙের ভিতর দিয়াও একটা-কিছু চেহারা খুজিয়া পাওয়া যাইতে পারে। পূর্বেই লিখিয়ছি, প্রভাতসংগীতে একটা পর্ব শেষ হইয়াছে। ছবি ও গান হইতে পালটা আবার আর-একরকম করিয়া শুরু হইল। একটা জিনিসের আয়তের আয়োজনে বিন্তর বাহুল্য থাকে। কাজ যত অগ্রসর হইতে থাকে তত সে সমান্ত সরিয়া পড়ে। এই নূতন পালার প্রথমের দিকে বোধ করি বিস্তর বাজে জিনিস আছে। সেগুলি যদি গাছের পাতা হইত। তবে নিশ্চয় করিয়া যাইত । কিন্তু বইয়ের পাতা তো অত সহজে করে না, তাহার দিন ফুরাইলেও সে টিকিয়া থাকে। নিতান্ত সামান্য জিনিসকেও বিশেষ করিয়া দেখিবার একটা পালা এই ছবি ও গান-এ আরম্ভ হইয়াছে। গানের সুর যেমন সাদা কথাকেও গভীর করিয়া করিবার ইচ্ছা ছবি ও গান-এ ফুটিয়াছে। না, ঠিক তাহা নহে। নিজের মনের তারটা যখন সুরে বাধা থাকে তখন বিশ্বসংগীতের ঝংকার সকল জায়গা হইতে উঠিয়াই তাঁহাতে অনুরণন তোলে। সেদিন লেখকের DB BBD BB BBOBDD BDBD DBBDB DD BD DDD DDSS gBSBDD DDD BBB B পড়িত, দেখিতাম তাঁহারই সঙ্গে আমার প্রাণের একটা সুর মিলিতেছে। ছোটাে শিশু যেমন ধুলা বালি ঝিনুক শামুক যাহা-খুশি তাঁহাই লইয়া খেলিতে পারে, কেননা তাহার মনের ভিতরেই খেলা জাগিতেছে ; সে সর্বত্রই তাহার আয়োজন ; তেমনি অন্তরের মধ্যে যেদিন আমাদের যৌবনের গান নানা সুরে ভরিয়া ওঠে তখনই আমরা সেই বোধের দ্বারা সত্য করিয়া দেখিতে পাই যে, বিশ্ববীিণার হাজার-লক্ষ তার নিত্য সুরে যেখানে বাধা নাই এমন জায়গাই নাই- তখন যাহা চোখে পড়ে, যাহা হাতের কাছে আসে তাহতেই আসর জমিয়া ওঠে, দূরে যাইতে হয় না। বালক “ছবি ও গান এবং কড়ি ও কোমল-এর মাঝখানে বালক” নামক একখানি মাসিকপত্র এক বৎসরের ওষধির মতো ফসল ফলাইয়া লীলাসকরণ’ করিল। বালকদের পাঠ্য একটি সচিত্র কাগজ বাহির করিবার জন্য মেজবউঠাকুরানীর বিশেষ আগ্রহজন্সিয়াছিল ; তাহার ইচ্ছা ছিল, সুধীন্দ্র” বলেন্দ্র” প্রভৃতি আমাদের বাড়ির বালকগণ এই কাগজে আপনি আপন রচনা প্রকাশ করে । কিন্তু শুদ্ধমাত্র তাহদের লেখায় কাগজ চলিতে পারে না জানিয়া, তিনি সম্পাদক হইয়া আমাকেও রচনার ভার গ্রহণ করিতে বলেন। দুই-এক সংখ্যা বালক বাহির হইবার পর একবার দুই-একদিনের জন্য দেওঘরে রাজনারায়ণবাবুকে দেখিতে যাই। কলিকাতায় ফিরিবার সময় রাত্রের গাড়িতে ভিড় ছিল, ভালো করিয়া ঘুম হইতেছিল না- ঠিক চোখের উপর আলো জ্বলিতেছিল। মনে করিলাম, ঘুম যখন হইবেই না তখন এই সুযোগে বালক-এর জন্য একটা গল্প ভাবিয়া রাখি। গল্প ভাবিবার ব্যর্থ চেষ্টার টানে গল্প আসিল না, ঘুম আসিয়া পড়িল। স্বপ্ন দেখিলাম, কোন এক মন্দিরের সিঁড়ির উপর বলির রক্তচিহ্ন দেখিয়া একটি বালিকা অত্যন্ত করুশ ব্যাকুলতার সঙ্গে তাহার ব্যাপকে জিজ্ঞাসা করিতেছে, “বাবা, এ কী ! এ-যে রক্ত ” বালিকার এই কাতরতায় তাহার বাপ অন্তরে ব্যথিত হইয়া অথচ বাহিরে রাগের ভান করিয়া কোনোমতে তার প্রশ্নটিাকে চাপা দিতে চেষ্টা করিতেছে - জাগিয়া উঠিয়াই মনে হইল, এটি আমার স্বপ্নলব্ধ ১ প্রকাশ, বৈশাখ ১২১২। সম্পাদিক জ্ঞানদােনশিনী দেবী ২ বৈশাখ ১২৯৩ হইতে বালক ভারতীয় সহিত যুক্ত হয় । e Alegryw (Mus-y»R») screpartov v s van (stro-Sa) overei was are a