পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tov রবীন্দ্র-मानवी মৃত্যুশোক নাই। মারি যখন মৃত্যু হয় আমার তখন বয়স অল্প।” অনেকদিন হইতে তিনি রোগে ভুগতেছিলেন, কখন যে তাহার জীবনসংকট উপস্থিত হইয়াছিল তাহা জানিতেও পাই নাই। এতদিন পর্যন্ত যে-ঘরে আমরা শুইতাম সেই ঘরেই স্বতন্ত্ৰ শয্যায় মা শুইতেন। কিন্তুষ্ঠাহার রোগের সময় একবার কিছুদিন ঠাহকে বোটে করিয়া গঙ্গায় বেড়াইতে লইয়া যাওয়া হয়- তাহার পরে বাড়িতে ফিরিয়া তিনি অন্তঃপুরের তেতালার ঘরে থাকিতেন। যে-রাত্ৰিতে ঠহার। মৃত্যু হয় আমরা তখন ঘুমাইতেছিলাম, তখন কত রাত্রি জানি না, একজন BBB DB DBDB BumuDDDuD DBB DDD DDD DuS SDB BB D BBBBDB উঠাকুরানী তাড়াতাড়ি তাহাকে ভৎসনা করিয়া ঘর হইতে টানিয়া বাহির করিয়া লইয়া গেলেন- পাছে গভীর রাত্রে আচমকা আমাদের মনে গুরুতর আঘাত লাগে এই আশঙ্কা তাহার ছিল । তিমিত প্ৰদীপে, অস্পষ্ট আলোকে ক্ষশকালের জন্য জাগিয়া উঠিয়া হঠাৎ বুকটা দমিয়া গেল। কিন্তু কী হইয়াছে ভালো করিয়া বুঝিতেই পরিলাম না। প্ৰভাতে উঠিয়া যখন মারি মৃত্যুসংবাদ শুনিলাম। তখনো সে-কথাটার অর্থ সম্পূর্ণ গ্রহণ করিতে পারিলাম না। বাহিরের বরাদ্দায় আসিয়া দেখিলাম তাহার সুসজ্জিত দেহ প্রাঙ্গণ খাটের উপরে শয়ন । কিন্তু মৃত্যু যে ভয়ংকর সে-দেহে তাহার কোনো প্রমাণ ছিল না- সেদিন প্ৰভাতের আলোকে মৃত্যুর যে-রূপ দেখিলাম তাহা সুখসুপ্তির মতোই প্রশান্ত ও মনোহয়। জীবন হইতে জীবনস্তের বিচ্ছেদ স্পষ্ট করিয়া চোখে পড়িল না। কেবল যখন ঠাহার দেহ বহন করিয়া বাড়ির সদর দরজার বাহিরে লইয়া গেল এবং আমরা ঠাহর পশ্চাৎ পশ্চাৎ শ্মশানে চলিলাম তখনই শোকের সমন্ত ঝড় যেন একেবারে এক-দমকায় আসিয়া মনের ভিতরটাতে এই একটা হাহাকার তুলিয়া দিল যে, এই বাড়ির এই দরজা দিয়া মা আর একদিনও ঠাহর নিজের এই চিরজীবনের ঘরকরনার মধ্যে আপনার আসনটিতে আসিয়া বসিবেন না। দেখিলাম- তিনি তখনো তঁহার ঘরের সম্মুখের বারান্দায় অন্তব্ধ হইয়া উপাসনায় বসিয়া আছেন । বাড়িতে যিনি কনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনিই মাতৃহীন বালকদের ভার লাইলেন। তিনিই আমাদিগকে খাওয়াইয়া পরাইয়া সর্বদা কাছে টানিয়া আমাদের যে কোনো অভাব ঘটিয়াছে তাহা ভুলইয়া রাখিবার জন্য দিনরাত্রি চেষ্টা করিলেন। বে-ক্ষতি পূরণ হইবে না, যে-বিচ্ছেদের প্রতিকার নাই, তাহাকে ভুলিবার শক্তি প্রাণশক্তির একটা প্রধান অঙ্গ- শিশুকালে সেই প্রাণশক্তি নবীন ও প্রবল থাকে, তখন সে কোনো আঘাতকে গভীরভাবে গ্রহণ করেন, স্থায়ী রেখায় আঁকিয়া রাখে না। এইজন্য জীবনে প্রথম যে-মৃত্যুকালো ছায়া ফেলিয়া প্ৰবেশ করিল, তাহা আপনার কালিমাকে চিরন্তন না করিয়া ছায়ার মতোই একদিন নিঃশব্দপদে চলিয়া গেল। ইহার পরে বড়ো হইলে যখন বসন্তাপ্ৰভাতে একমুঠা অনতিস্ফুট মোটা মোটা বেলফুল চাদরের প্রান্তে বাধিয়া খ্যাপার মতো বেড়াইতাম- তখন সেই কোমল চিকণ কুঁড়িগুলি ললাটের উপর বুলাইয়া প্রতিদিনই আমার মায়ের শুত্র আঙুলগুলি মনে পড়িত— আমি স্পষ্টই দেখিতে পাইতাম যে-সম্পর্শ সেই সুন্দর আঙুলের আগায় ছিল সেই স্পৰ্শই প্রতিদিন এই বেলফুলগুলির মধ্যে নির্মল হইয়া ফুটিয়া উঠিতেছে ; জগতে তাহার আর অন্ত নাই- তা আমরা ভুলিই আর মনে রাখি। কিন্তু আমার চব্বিশবছর বয়সের সময় মৃত্যুর সঙ্গে যে পরিচয় হইল তাহা স্থায়ী পরিচয় । তাহা তাহার পরবর্তী প্রত্যেক বিচ্ছেদশোকের সঙ্গে মিলিয়া আক্রর মালা দীর্ঘ করিয়া গাঁথিয়া চলিয়াছে। শিশুবয়সের লঘু জীবন বড়ো বড়ো মৃত্যুকেও অনায়াসেই পাশ কাটাইয়া চুটিয়া যায়- কিন্তু অধিক বয়সে মৃত্যুকে অত ১। সারদাদেবীর মৃত্ম, ২৫ ফাল্গুন, ১২৮১, [৮ মার্চ ১৮৭৫- রবীন্দ্ৰ কথা § vpráb 0é, ovíRifier Rsa 9: : : । DD BDD uB BDBS DS BuBL tDt L T 0HLgS TuuDuDS SLtHS SS