পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক ভেসে চলেছে আলোড়িত নক্ষত্রের ফেনপুঞ্জে ; অবশেষে যুগন্তে তারা তেমনি করেই গেছে যেমন গেছে। বর্ষণশান্ত মেঘ, যেমন গেছে ক্ষণজীবী পতঙ্গ । মহাকাল, সন্ন্যাসী তুমি । তোমার অতলম্পর্শধ্যানের তরঙ্গ-শিখরে উদ্ভূিত হয়ে উঠছে সৃষ্টি আবার নেমে যাচ্ছে ধ্যানের তরঙ্গতলে । 漫 প্রচণ্ড বেগে চলেছে ব্যক্তি-অব্যক্তের চক্রবৃত্য, তারি নিস্তব্ধ কেন্দ্ৰস্থলে তুমি আছ অবিচলিত আনন্দে। হে নির্মম, দাও আমাকে তোমার ওই সন্ন্যাসের দীক্ষা । জীবন আর মৃত্যু, পাওয়া আর হারানোর মাঝখানে যেখানে আছে অক্ষুব্ধ শান্তি সেই সৃষ্টি-হােমাগ্নিশিখার অন্তরতম স্তিমিত নিভৃতে। দাও আমাকে আশ্ৰয় । צ8סל : আট মনে মনে দেখলুম। সেই দূর অতীত যুগের নিঃশব্দ সাধনা, যা মুখর ইতিহাসকে নিষিদ্ধ রেখেছে আপনি তপস্যার আসন থেকে । দেখলেম দুৰ্গম গিরিব্রজে రాష్ట్రాణా ছবি আঁকছে। গুণী গুহ্যাভিত্তির পরে, যেমন অন্ধকার পটে সৃষ্টিকার আঁকছেন বিশ্বছবি। সেই ছবিতে ওরা আপন আনন্দকেই করেছে সত্য, আপন পরিচয়কে করেছে। উপেক্ষা, দাম চায় নি বাইরের দিকে হাত পেতে, নামকে দিয়েছে মুছে । হে অনামা, হে রূপের তাপস, প্ৰণাম করি তোমাদের । 8ዒ