পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঞ্চয় १९७ মায়া বলিতেছি তাহাকে মায়াই বলিতে পারতাম না। যদি কোনোখানে সত্যের উপলব্ধি না থাকিত। সেই সত্যকে লক্ষ্য করিয়াই উপনিষৎ বলিতেছেন- “ V rB DB DBEuBB DDB DB BBBLOLBLB BBBB BBDBD DBBBLL S S সেই নিত্য পুরুষের প্রশাসনে, হে গৰ্গি নিমেষ মুহূর্ত অহােরাত্র অর্ধর্মসি মাস ঋতু সংবৎসর সকল বিধৃত হইয়া हेिलि कठिछ। অর্থাৎ এই সমস্ত নিমেষ মুহুর্তগুলিকে আমরা এক দিকে দেখিতেছি চলিতেছে কিন্তু আর-এক দিকে দেখিতেছি। তাহা একটি নিরবচ্ছিন্নতাসূত্রে বিবৃত হইয়া আছে। এইজন্যই কাল বিশ্বচরাচরকে ছিন্ন ছিন্ন করিয়া যাইতেছে না, তাহাকে সর্বত্র জুড়িয়া গাঁথিয়া চলিতেছে। তাহা জগৎকে চকমকি ঠেকা ফুলিঙ্গপরম্পরার মতো নিক্ষেপ করিতেছে না, আদ্যন্ত যোগযুক্ত শিখার মতো প্রকাশ করিতেছে। তাহা যদি না হইত। তবে আমরা মুহুর্তকালকেও জানিতাম না। কারণ আমরা এক মুহূৰ্তকে অন্য মুহুর্তের সঙ্গে যোগেই জানিতে পারি, DDBDBBD BBD DDD DDSSD BBB DB DDBDB BDBDSSBDBB BDSBBBDD DDD SS যাহা অনন্ত সত্য, অর্থাৎ অনন্ত স্থিতি, তাহা অনন্ত গতির মধ্যেই আপনাকে প্রকাশ করিতেছে। এইজন্য সকল প্রকাশের মধ্যেই দুই দিক আছে। তাহা এক দিকে বন্ধ, নতুবা প্রকাশই হয় না, আর-এক দিকে মুক্ত, নতুবা অনন্তের প্রকাশ হইতে পারে না। এক দিকে তাহা হইয়াছে আর-এক দিকে তাহার হওয়া শেষ হয় নাই, তাই সে কেবলই চলিতেছে। এইজনাই জগৎ, জগৎ, সংসার সংসার। এইজন্য কোনো বিশেষরূপ আপনাকে চরমভাবে বদ্ধ করে না- যদি করিত তবে সে অনন্তের প্রকাশকে বাধা দিত। তাই যাহারা অনন্তের সাধনা করেন, যাহারা সত্যকে উপলব্ধি করিতে চান, তাহাদিগকে বারবার এ কথা চিন্তা করিতে হয়, চারিদিকে যাহা কিছু দেখিতেছি জানিতেছিাইহাই চরম নহে, স্বতন্ত্র নহে, কোনাে মুহুর্তেই ইহা আপনাকে আপনি পূর্ণ করিয়া প্রকাশ করিতেছে না। যদি তাহা করিত তবে ইহারা প্রত্যেকে স্বয়ত্ব স্বপ্রকাশ হইয়া স্থির হইয়া থাকিত । ইহারা অন্তহীন গতি দ্বারা যে অন্তহীন স্থিতিকে নির্দেশ করিতেছে সেইখানেই আমাদের চিত্তের চরম আশ্রয় চরম আনন্দ । অতএব আধ্যাত্মিক সাধনা কখনোই রূপের সাধনা হইতে পারে না । তাহা সমস্ত রূপের ভিতর দিয়া চঞ্চল রূপের বন্ধন অতিক্রম করিয়া ধুব সত্যের দিকে চলিতে চেষ্টা করে। ইন্দ্ৰিয়গোচর যে-কোনো বস্তু আপনাকেই চরম বলিয়া স্বতন্ত্ৰ বলিয়া ভান করিতেছে, সাধক তাহার সেইভানের আবরণ ভেদ করিয়া পরম পদার্থকে দেখিতে চায়। ভেদ করিতেই পারিত না। যদি এই সমস্ত নাম রূপের আবরণ চিরন্তন হইত। যদি ইহারা অবিশ্রাম প্রবহমান ভাবে নিয়তই আপনার বেড়া আপনিই ভাঙিয়া না চলিত, তবে ইহারা ছাড়া আর-কিছুর জন্য কোনো চিন্তাও মানুষের মনে মুহূর্তকালের জন্য স্থান পাইত না- তবে ইহাদিগকেই সত্য জুনিয়া আমরা নিশ্চিন্তু হইয়া বসিয়া থাকিতাম-তবে বিজ্ঞান ও তত্ত্বজ্ঞান এই সমস্ত অচল প্রত্যক্ষ সত্যের ভীষণ শৃঙ্খলে বাধা পড়িয়া একেবারে মুক হইয়া মুহিত হইয়া থাকিত। ইহার পিছনে কিছুই দেখিতে পাইত । না। কিন্তু সমস্ত খণ্ড বস্তু কেবলই চলিতেছে বলিয়াই, সারি সারি দাড়াইয়া পথ রোধ করিয়া নাই বলিয়াই আমরা অখণ্ড সত্যের, অক্ষয় পুরুষের সন্ধান পাইতেছি। সেই সত্যকে জানিয়া সেই পুরুষের কাছেই আপনার সমস্তকে নিবেদন করিয়া দেওয়াই আধ্যাত্মিক সাধনা। সুতরাং ত্যাহা সত্যের দিক হইতে রূপের দিকে কোনো মতে উজান পথে চলিতে পারে না। ’ এই তাে আধ্যাত্মিক সাধনা। শিল্প-সাহিত্যের সাধনটা কী ? এই সাধনায় মানুষের চিত্ত আপনাকে বাহিরে রূপ দিয়া সেই রূপের ভিতর হইতে পুনশ্চ আপনাকেই ফিরিয়া দেখিতেছে। সৌন্দর্যের মধ্যে আনন্দ আপনাকেই বাহিরে দেখিতে পায় সেইজন্যই সৌন্দর্যের গীেরব। মানুষ আপনার সৌন্দর্য সৃষ্টির মধ্যে আপনারই আনন্দময় স্বরূপকে দেখিতে পায়- শিল্পীর শিল্পে কবির কাব্যে মানুষের সেইজন্যই এত অনুরাগ। শিল্পে সাহিত্যে মানুষ কেবলই যদি বাহিরের রূপকেই দেখিত, আপনাকে দেখিত, তবে সে শিল্প-সাহিত্য তাহার পক্ষে একেবারে ব্যর্থ হইত। এইজন্য শিল্প-সাহিত্যে ভাবব্যঞ্জনার(suggestiveness)এত আদর। এই ভাবব্যঞ্জনার দ্বারারূপ আপনার একান্ত ব্যক্তিতা যথাসম্ভব পরিহার করে বলিয়াই অব্যক্তের অভিমুখে আপনাকে বিলীন করে বলিয়াই