পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bri80s শেষ সপ্তক যে কাজে আছে দূরের ব্যাপ্তি তাতে প্রতি মুহুর্তে আছে আমার মহাকাশ । এইসঙ্গে দেখি মৃত্যুর মধুর রূপ, স্তব্ধ নিঃশব্দ সুদূর, জীবনের চারদিকে নিস্তরঙ্গ মহাসমুদ্ৰ ; সকল সুন্দরের মধ্যে আছে তার আসন, তার মুক্তি । R অন্য কথা পরে হবে । গোড়াতেই বলে রাখি তুমিচা পাঠিয়েছ, পেয়েছি। এতদিন খবর দিইনি। সেটা আমার স্বভাবের বিশেষত্ব । যেমন আমার ছবি আঁকা, চিঠি লেখাও তেমনি । ঘটনার ডাকপিওনগিরি করে না সে । নিজেরই সংবাদ সে নিজে । জগতে রূপের আনাগোনা চলছে, সেইসঙ্গে আমার ছবিও এক-একটি রূপ, অজানা থেকে বেরিয়ে আসছে জানার দ্বারে । সে প্রতিরূপ নয় । মনের মধ্যে ভাঙাগড়া কত, কতই জোড়াতাড়া ; কিছু বা তার ঘনিয়ে ওঠে ভাবে, কিছু বা তার ফুটে ওঠে চিত্রে ; এতদিন এই সব আকাশবিহারীদের ধরেছি কথার ফদে । মন তখন বাতাসে ছিল কান পেতে, যে ভাব ধ্বনি খোজে তারি খোজে । আজকাল আছে সে চোখ মেলে । রেখার বিশ্বে খোলা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে, দেখবে বলে । সে তাকায়, আর বলে, “দেখলেম ।” সংসারটা আকারের মহাযাত্রা । কোন চির-জাগরকের সামনে দিয়ে চলেছে, তিনিও নীরবে বলছেন, “দেখলেম ।” আদি যুগেরঙ্গমঞ্চের সম্মুখে সংকেত এল, “খোলো আবরণ ।” বাম্পের যবনিকা গেল উঠে, রূপের নটীরা এল বাহির হয়ে ; ইন্দ্রের সহস্ৰ চক্ষু, তিনি দেখলেন। র্তর দেখা আর তীর সৃষ্টি একই। চিত্রকর তিনি । র্তার দেখার মহোৎসব দেশে দেশে কালে কালে । (?