পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় \Öዩ9% সেতারের তার হল চুপ, ছাই হয়ে গেল গন্ধধূপ ৷ কবরীর ফুলগুলা ধুলায় হইল ধুলা, লজিত সকল লিজা বিরস বিরূপ । সম্মুখেতে শুভ্র বর্ণহীন তোমার রজনী, তব দিন । সম্মুখে আকাশ খোলা নিস্তব্ধ সকল-ভোলা, মত্ততার কলরব দিগন্তে বিলীন । আভরণহীন তব বেশ, মালাহীন তব রুক্ষ কেশ । শরতের আলো লেগে আমলিন দীপ্তি মেঘে, তেমনি বিষাদে শুভ্ৰ স্মৃতি-অবশেষ । তবু কেন হয় যেন বোধ কে তব করেছে। পথরোধ । ছুটি পেলে যার কাছে কিছু তার প্রাপ্য আছে, সব কি হয় নি পরিশোধ । সূক্ষ্মতম এই আচ্ছাদন অশ্রদ্ধাহারা মর্মের কঁদন । বাক্যহীন যেই মানা স্পষ্ট নাহি যায় জানা কঠিন যে তাহার বঁাধন । যদিও কেটেছে ঘুমঘোর, পাখায় লাগে নি তবু জোর । কোথা বাধা বারণের ডোর । কিছুকাল দিন তব যায় । রুদ্ধ দুয়ারের ছায়া শেষ করে তার মায়া, তার পরে মন ছুটি পায় । শেষ সপ্তক শেষ সপ্তক ১৩৪২ সালের ২৫ বৈশাখ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । শেষ সপ্তকের ১৫-সংখ্যক কবিতাবলীর সহিত পথে ও পথের প্রান্তে গ্রন্থে প্রকাশিত রানী মহলানবিশকে লিখিত ২৬ ও ২৭ –সংখ্যক পত্র তুলনীয় ; এই কবিতাগুলিকে ঐ চিঠি দুটিরই কাব্যরূপ বলা যাইতে পারে।