পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক সেই সীমায়-বন্দী নাচন পায় গানে-গড়া রূপ । সেই বোবা রূপের দল মিলতে থাকে সৃষ্টির অন্দরমহলে, সেখানে যত রাপের নটী আছে ছন্দ মেলায় সকলের সঙ্গে নুপুর-বাধা চাঞ্চল্যের দোলযাত্রায় । “আমি যে জানি এ-কথা যে-মানুষ জানায় সে পণ্ডিত । “আমি যে রস পাই, ব্যথা পাই, রূপ দেখি এ-কথা। যার প্রাণ বলে গান তারি জন্যে, শান্ত্রে সে আনাড়ি হলেও তার নাড়ীতে বাজে সুর। যদি সুযোগ পাও কথাটা নারদমুনিকে শুধিয়ো ঝগড়া বাধাবার জন্যে নয়, তত্ত্বের পর পাবার জন্যে সংজ্ঞার অতীতে । আঠারো শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য সুহৃদবরেষু। আমরা কি সত্যই চাই শোকের অবসান ? আমাদের গর্ব আছে নিজের শোককে নিয়েও । আমাদের অতি তীব্ৰ বেদনাও বহন করে না। স্থায়ী সত্যকেসাত্বনা নেই এমন কথায় ; এতে আঘাত লাগে আমাদের দুঃখের অহংকারে । জীবনটা আপন সকল সঞ্চয় ছড়িয়ে রাখে কালের চলাচলের পথে ; তার অবিরাম-ধাবিত চাকার তলায় গুরুতর বেদনার চিহ্নও যায় জীর্ণ হয়ে, অস্পষ্ট হয়ে । VV)