পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vivo রবীন্দ্র-রচনাবলী সে যে মনের মানুষ, কেন তারে বসিয়ে রাখিস নয়নদ্বারে । ডাকনা রে তোর বুকের ভিতর নয়ন ভাসুক নয়নধারে । যখন নিবাবে আলো, আসবে রাতি, হৃদয়ে দিস আসন পাতিআসবে সে যে সংগোপনে বিচ্ছেদেরই অন্ধকারে । তার আসাযাওয়ার গোপন পথে G আসবে যাবে আপনমতে । তারে বঁাধবে বলে যেই কর পণ সে থাকে না, থাকে বাধনসেই বাধনে মনে মনে বাধিস কেবল আপনারে |]* পৃ. ২০০, ‘ডাক্তারের প্রবেশ এর অব্যবহিত পূর্বে বসিবে : টুকরির প্রবেশ টুকরি। যতীনন্দা যতীন । ঠানদি বুড়ি, আয়, আয়, আমার বুকের ওপর আয় ৷ [বুড়ি, তুই তো সত্যি, তুই তো মিথ্যে না ?]*? টুকরি। আজ তুমি সাজো নি কেন । যতীন । কিসের সাজ । টুকরি। রাজকন্যে আসছে, আমি দেখেছি। যতীন । কোথায় দেখলি । টুকরি। রাস্তায় । ময়ূরপন্ধিতে চড়ে, বাঁশি বাজিয়ে, আলো জেলে । আমি তাই তো ছুটে এলুম | যতীন। এসে পৌছবে না। ধুধু করছে রাস্তা, জনশূন্য রাস্তা, শেষ নেই তার শেষ নেই। লগ্ন ফুরিয়ে এল, বুড়ি, তোদের রাজকন্যা পীেছল না, পীেছল না । টুকরি । অমন করে কী বকছ যতীনদাদা, শুনে কেমন ভয় করে । আমি দেখেছি আসছে। আমি তাকে নিয়ে আসছি । [প্ৰস্থান শেষ বর্ষণ শেষ বর্ষণ ১৩৩২ সালে রচিত হয় । ঐ সালের ভাদ্র মাসে ইহা মঞ্চস্থ হওয়া উপলক্ষে ঐ নামে যে পুস্তিকা প্রকাশিত হয় তাহাতে শুধু নাটাে ব্যবহৃত গানগুলিই মুদ্রিত হইয়াছিল, কথাবস্তু প্রকাশিত হয় নাই ; পরে ঋতু-উৎসব (১৩৩৩) গ্রন্থে কথা ও গান-সহ শেষ বর্ষণের সম্পূর্ণ নাট্যরূপটি প্রকাশিত হয় । ৯ রঙ্গমঞ্চে-ব্যবহৃত গ্রন্থটিতে এই অংশ বর্জন চিহ্নিত ; রবীন্দ্রভবনের গ্রন্থে অংশটি নাই । রবীন্দ্রভবনের গ্রন্থে গানটি প্রথম দৃশ্যে হিমির গান রূপে ব্যবহৃত হইয়াছে। ১০। রবীন্দ্রভবনের গ্রন্থে কবির হস্তাক্ষরে সংযোজন । প্রাথমিক অসম্পূর্ণ খসড়ার জন্য দ্রষ্টব্য রবীন্দ্রভবন -প্রকাশিত রবীন্দ্রবীক্ষা ২১ : শ্রাবণ ১৩৯৬৷৷