পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wgbrኂr রবীন্দ্র-রচনাবলী 8 -- জীবনস্মৃতি তোমাদের হাতে পূর্বেই সমর্পণ করেছি। ভূমিকাটি আগাগোড়া বদলে দিয়েছি বোধ হয় দেখেছ- জিনিসটাকে সাধারণ পাঠকের সুখপাঠ্য করবার চেষ্টা করেছি- অর্থাৎ আমার জীবন বলে একটা বিশেষ গল্প যাতে প্রবল হয়ে না। ওঠে তার জন্যে আমার চেষ্টায় ক্রটি হয় নি- আমার তো বিশ্বাস ওতে বিশুদ্ধ সাহিত্যের সৌরভ ফুটে উঠেছে, কিন্তু আপরিতোষাদ বিদুষাং ইত্যাদি। G ...কবিকে” আমার কবিজীবনীটা পড়িতে দিও। সে তো সম্পাদক শ্রেণীর নহে, সুতরাং তাহার হৃদয় কোমল, অতএব সে ওটা পড়িয়া কিরূপ বিচার করে জানিতে ইচ্ছা করি । [২৫ आर्छ S७Sb] . জীবনস্মৃতির ভূমিকায় ষষ্ঠ অনুচ্ছেদের পরে প্রবাসীতে মুদ্রিত হয় : চলিয়ছিলাম। কিছুদূর পর্যন্ত লিখিতেই কাজের ভিড় আসিয়া পড়িল- লেখা বন্ধ হইয়া গেল |’ রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপিটি সম্ভবত সেই অসম্পূর্ণ (বালক-প্রকাশের স্মৃতিকথা পর্যন্ত) প্রথম রচনা । ১৩১৮ সালের ২৫শে বৈশাখ উৎসবের সময় শান্তিনিকেতনে ঘরোয়া আসরে রবীন্দ্রনাথ এই পাণ্ডুলিপি পাঠ করেন। প্রবাসীতে প্রকাশিত পরবর্তী পাঠেরও কিয়দংশ রবীন্দ্রসদনে একটি খাতায় আছে। উহার সংশোধিত সম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপি সীতা দেবীর নিকটে ছিল (দ্রষ্টব্য ‘পুণ্যস্মৃতি“, পৃ. ২০), তিনি সম্প্রতি রবীন্দ্রভবনে দিয়াছেন । ১৩১৯ সালে গ্রন্থপ্রকাশের সময় প্রবাসীর পাঠেও রবীন্দ্ৰনাথ বহু সংযোজন সংশোধন করিয়াছিলেন । সেই শেষ পাঠের কোনাে পাণ্ডুলিপি (?) আমরা দেখি নাই। রবীন্দ্রভবনের পাণ্ডুলিপি হইতে সূচনাংশ দুইটি এ স্থলে মুদ্রিত হইল : S আমার জীবনবৃত্তান্ত লিখিতে অনুরোধ আসিয়াছে। সে অনুরোধ পালন করিব বলিয়া প্রতিশ্রুত হইয়াছি। এখানে অনাবশ্যক বিনয় প্রকাশ করিয়া জায়গা জুড়িব না। কিন্তু নিজের কথা লিখিতে বসিলে যে-অহমিকা আসিয়া পড়ে তাহার জন্য পাঠকদের কােছ হইতে ক্ষমা চাই । র্যাহারা সাধু এবং র্যাহারা কর্মবীর তীহাদের জীবনের ঘটনা ইতিহাসের অভাবে নষ্ট হইলে আক্ষেপের কারণ হয়- কেননা, তাহাদের জীবনটাই তাহাদের সর্বপ্রধান রচনা । কবির সর্বপ্রধান রচনা কাব্য, তাহা তো সাধারণের অবজ্ঞা বা আদর পাইবার জন্য প্রকাশিত হইয়াই আছে- আবার জীবনের কথা কেন । এই কথা মনে মনে আলোচনা করিয়া আমি অনেকের অনুরোধসত্ত্বে নিজের জীবনী লিখিতে কোনোদিন উৎসাহ বোধ করি নাই। কিন্তু সম্প্রতি নিজের জীবনটা এমন একটা জায়গায় আসিয়া দাড়াইয়াছে। যখন পিছন ফিরিয়া তাকাইবার অবকাশ পাওয়া গেছে— দর্শকভাবে নিজেকে আগাগোড়া দেখিবার যেন সুযোগ পাইয়াছি। ইহাতে এইটে চোখে পড়িয়াছে যে, কাব্যরচনা ও জীবনরচনা ও-দুটা একই বৃহৎরচনার অঙ্গ । ঐ যে কাবেই আপনার ফুল ফুটাইয়াছে আর কিছুতে নয়, তাহার তত্ত্ব সমগ্র জীবনের V5Nt እኳr ቕቫON€j5ጃሙበዒi TV€