পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় VVD লাগবে যে, দ্বিগু সমাস কাকে বলে সুকুমারমতি বালকের তাও জানা ছিল। তখনকার কালের পাঠ্যগ্রন্থের ভূমিকা দেখলেই জানা যাবে সেকালে বালকমাত্রই সুকুমারমতি ছিল।” —“হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর স্মৃতিতর্পণের জন্য”। রবীন্দ্ৰ-পাণ্ডুলিপি, রবীন্দ্রীভবন-সংগ্ৰহ । শান্তিনিকেতন “নর্মাল স্কুল পরিচ্ছেদে উল্লিখিত হরনাথ পণ্ডিতের সহিত “গিন্নি গল্পের শিবনাথ পণ্ডিতের সাদৃশ্য পাণ্ডুলিপির নিম্নোদ্ধৃত পঙক্তি-কয়টিতে পরিস্ফুট ; ‘এই পণ্ডিতটি ক্লাসের ছেলেদের অদ্ভুত নামকরণ করিয়া কিরূপ লজ্জিত করিতেন সাধনায়া” গিন্নি’-নামক যে গল্প বাহির হইয়াছিল তাহাতে সে বিবরণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। আর-একটি ছেলেকে তিনি ভেটকি বলিয়া ডাকিতেন, সে বেচারার গ্ৰীবার অংশটা কিছু প্রশস্ত ছিল। —দ্বিতীয় পাণ্ডুলিপি “নানা বিদ্যার আয়োজন অধ্যায়ের বিজ্ঞানশিক্ষক “সীতানাথ দত্ত’ সম্ভবত সীতানাথ ঘোষ হইবেন । সীতানাথ নামে অন্য কোনো বৈজ্ঞানিকের জোড়ার্সাকোর বাড়িতে তখন যাতায়াত ছিল না । দেবেন্দ্ৰনাথ ও তাহার পরিবারবর্গের সহিত বৈজ্ঞানিক সীতানাথ ঘোষ (১২৪৮-৯০)। মহাশয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘পিতৃদেব সম্বন্ধে আমার জীবনস্মৃতি” প্রবন্ধে (প্রবাসী, মাঘ ১৩১৮, পৃ. ৩৮৮) এবং যোগীন্দ্রনাথ সমাদার মহাশয়ের বৈজ্ঞানিক সীতানাথ নামক আলোচনায় (প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯, পৃ ২১৩-১৫) পাওয়া যাইবে । শেষোক্ত প্ৰবন্ধে ইহাও জানা যায় যে, “দেবেন্দ্রনাথ তাহাকে ১৮৭২ সনে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদকত্ব প্ৰদান করেন ।” “কাব্যরচনাচর্চা” পরিচ্ছেদে অনুল্লিখিত একটি নূতন কবিতার উল্লেখ রবীন্দ্রনাথের “ছেলেবেলা’ গ্রন্থে দেখা যায় ; এ স্থলে উদধূত হইল : ‘মনে পড়ে পয়ারে ত্রিপদীতে মিলিয়ে একবার একটা কবিতা বানিয়েছিলুম, তাতে এই দুঃখ জানিয়েছিলুম যে, সাতার দিয়ে পদ্ম তুলতে গিয়ে নিজের হাতের ঢেউয়ে পদ্মটা সরে সরে যায়- তাকে ধরা যায় না । অক্ষয়বাবু তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এই কবিতা শুনিয়ে বেড়ালেন, আত্মীয়রা বললেন ছেলেটির লেখবার হাত আছে।” --ছেলেবেলা, অধ্যায় ১১ “পিতৃদেবী পরিচ্ছেদে ৪৩৬ পৃষ্ঠায় যে মহানন্দ মুনশির উল্লেখ আছে রবীন্দ্রনাথ কোনো সময় এক মৌখিক ছড়ায় তাহার বর্ণনা করিয়াছিলেন । ‘ঘরোয়া’ গ্রন্থের আরম্ভে অবনীন্দ্রনাথ সেই ছড়ার এই কয়টি পঙক্তি স্মরণ করিয়াছেন : ‘মহানন্দ নামে এ কাছারিধামে আছেন এক কর্মচারী, ধরিয়া লেখনী লেখেন পত্ৰখানি সদা ঘাড় হেঁট করি।-- হস্তেতে ব্যজনী ন্যস্ত, মশা মাছি ব্যতিব্যস্ততাকিয়াতে দিয়ে ঠেস.’ ২০ বস্তুত হিতবাদীতে। ] ২১ দ্র। রবীন্দ্র-রচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড, পৃ. ৪১৫-১৯ । সুলভ অষ্টম খণ্ড পৃ ৫০২-৫০৪