পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক যারা ফিরিবে না ঘরের মায়ায়, যারা তীৰ্থযাত্ৰী ; যাদের অসংকোচ অক্লান্ত গতি, যারা পথ খুঁজে পায় আকাশের তারা দেখে ; কোনো দায় নেই যাদের কারো মন জুগিয়ে চলবার ; কত রৌদ্রতপ্ত দিনে । কত অন্ধকার অর্ধরাত্রে যাদের কণ্ঠ প্ৰতিধ্বনি জাগিয়েছে। অজানা শৈলিগুহায়, জনহীন মাঠে, পথহীন অরণ্যে । কোথা থেকে আনব তাদের নিন্দা-প্ৰশংসার ফ্রাদে টেনে । উঠে দাড়ালেম আসন ছেড়ে । ওরা বললে, “কোথা যাও কবি ?” আমি বললেম, যাব দুৰ্গমে, কঠোর নির্মমে, নিয়ে আসব কঠিনচিত্ত উদাসীনের গান ।” একুশ নুতন কল্পে সৃষ্টির আরম্ভে আঁকা হল অসীম আকাশে কালের সীমানা আলোর বেড়া দিয়ে । সব চেয়ে বড়ো ক্ষেত্রটি অযুত নিযুত কোটি কোটি বৎসরের মাপে সেখানে বঁাকে বঁটাকে জ্যোতিষ্ক-পতঙ্গ দিয়েছে দেখা, গণনায় শেষ করা যায় না । তারা কোন প্রথম প্রত্যুষের আলোকে কোন গুহা থেকে উড়ে বেরোল অসংখ্য, পাখা মেলে ঘুরে বেড়াতে লাগিল চক্রপথে আকাশ থেকে আকাশে । অব্যক্তে তারা ছিল প্ৰচ্ছন্ন, KJOSE QU QE gër মরণের ওড়া উড়তে ; هوا