পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তারা জানে না কিসের জন্যে এই মৃত্যুর দুর্দান্ত আবেগ । কোন কেন্দ্ৰে জ্বলছে সেই মহা আলোক যার মধ্যে বঁটাপ দিয়ে পড়বার জন্যে হয়েছে উন্মত্তের মতো উৎসুক । আয়ুর অবসান খুঁজছে আয়ুহীনের অচিন্ত্য রহস্যে । একদিন আসবে কল্পসন্ধ্যা, আলো আসবে মান হয়ে, ওড়ার বেগ হবে ক্লান্ত পাখা যাবে খসে, লুপ্ত হবে ওরা চিরদিনের অদৃশ্য আলোকে । ধরার ভূমিকায় মানব-যুগের সীমা আঁকা হয়েছে। ছোটো মাপে আলোক-আঁধারের পর্যায়ে নক্ষত্ৰলোকের বিরাট দৃষ্টির অগোচরে। সেখানকার নিমেষের পরিমাণে এখানকার সৃষ্টি ও প্ৰলয় । বড়ো সীমানার মধ্যে মধ্যে । ছোটো ছোটো কালের পরিমণ্ডল আঁকা হচ্ছে মোছা হচ্ছে । বুদবুদের মতো উঠল মহেজাদারো, মরুবালুর সমুদ্রে নিঃশব্দে গেল মিলিয়ে । দেখা দিল বিপুল বলে কালের ছোটো-বেড়া-দেওয়া ইতিহাসের রঙ্গস্থলীতে, কঁচা কালির লিখনের মতো লুপ্ত হয়ে গেল অস্পষ্ট কিছু চিহ্ন রেখে । তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো ছুটেছিল পতঙ্গের মতো অসীম দুর্লক্ষ্যের দিকে । বীরেরা বলেছিল অমর করবে। সেই আকাঙ্ক্ষার কীৰ্তি প্ৰতিমা ;