পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক কবিরা বলেছিল, অমর করবে: সেই আকাঙক্ষার বেদনাকে, রচেছিল মহাকবিতা । সেই মুহুর্তে মহাকাশের অগণ্য-যোজন পত্রপটে লেখা হচ্ছিল ধাবমান আলোকের জ্বলদক্ষরে সুদূর নক্ষত্রের হােমহতাগ্নির মন্ত্রবাণী । সেই বাণীর একটি একটি ধ্বনির উচ্চারণ-কালের মধ্যে ভেঙে পড়েছে। যুগের জয়স্তম্ভ, নীরব হয়েছে কবির মহাকাব্য, বিলীন হয়েছে আত্মগৌরবে-স্পর্ধিত জাতির ইতিহাস । আজ রাত্রে আমি সেই নক্ষত্ৰলোকের নিমেষহীন আলোর নীচে আমার লতাবিতানে বসে নমস্কার করি মহাকালকে । VJKUK VIGleo শিশুর শিথিল মুষ্টিগত খেলার সামগ্ৰীীর মতো ধুলায় পড়ে বাতাসে যাক উড়ে। আমি পেয়েছি ক্ষণে ক্ষণে অমৃত্যুভরা তার সীমা কে বিচার করবে ? তার অপরিমেয় সত্য অযুত নিযুত বৎসরের নক্ষত্রের পরিধির মধ্যে 8Gs at ; কল্পান্ত যখন তার সকল প্ৰদীপ নিবিয়ে সৃষ্টির রঙ্গমঞ্চ দেবে অন্ধকার করে তখনো সে থাকবে প্ৰলয়ের নেপথ্যে কল্পান্তরের প্রতীক্ষায় । \