পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bre রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তিন পািহর রাতে যাবার সময় কনেকে বললে ডাকাত, “তুমি আমার মা, . দুঃখ যদি পাও কখনো স্মরণ কোরো রঘুকে ।” তার পরে এসেছে যুগান্তর। বিদ্যুতের প্রখর আলোতে ছেলেরা আজ খবরের কাগজে পড়ে ডাকাতির খবর। রূপকথা-শোনা নিভৃত সন্ধেবেলাগুলো সংসার থেকে গেল চলে, আমাদের স্মৃতি আর নিবে যাওয়া তেলের প্রদীপের সঙ্গে সঙ্গে । তেত্রিশ বাদশাহের হুকুমসৈন্যদল নিয়ে এল আফ্রিাসায়েব খা, মুজফফর খা, মহম্মদ আমিন খা, সঙ্গে এল রাজা গোপাল সিং ভদোরিয়া, উদইৎসিং বুন্দেলা । গুরুদাসপুর ঘেরাই করল মোগল সেনা । শিখদল আছে কেল্লার মধ্যে, বন্দা সিং তাদের সর্দার । ভিতরে আসে না রসদ, বাইরে যাবার পথ সব বন্ধ । থেকে থেকে কামানের গোলা পড়ছে। প্রাকার ডিঙিয়ে, চার দিকের দিকসীমা পর্যন্ত রাত্রির আকাশ মশালের আলোয় রক্তবর্ণ। ভাণ্ডারে না রইল গম, না রইল যাব, না রইল জোয়ারি ; জ্বালানি কাঠ গেছে ফুরিয়ে। কঁচা মাংস খায় ওরা অসহ্য ক্ষুধায়, কেউ বা খায় নিজের জঙ্ঘা থেকে মাংস রে গাছের ছাল, গাছের ডাল ওঁড়ো করে তাই দিয়ে বানায় রুটি ।