পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓܬ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ফলসা গাছের ঝরা পাতা হঠাৎ হাওয়ায় চমকে বেড়ায় উড়ে ধুলোর সাঙােত হয়ে । कiछ-0ख्ाजों ७२ नेिन VSM6zerkek IS) লীন হয়ে চলেছে নিঃসীম নীলিমায় । ঝাউগাছের মর্মরকনানিতে মিশে মনের মধ্যে এই কথাটি উঠছে বেজে “আমি আছি । শিকড়ে শিকড়ে তার শিহর। লাগে, শাখায় শাখায় মুকুলিত হয়ে ওঠে বাণী— “আমি আছি । চন্দ্ৰসূর্যের আলো আপন ভাষায় স্বীকার করে তার সেই ভাষা । অলস মনের শিয়রে দাড়িয়ে হাসেন অন্তৰ্যামী, হঠাৎ দেন ঠেকিয়ে সোনার কাঠি প্রিয়ার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টি দিয়ে, কবির গানের সুর দিয়ে, তখন যে-আমি ধূলিধূসর সামান্য দিনগুলির মধ্যে মিলিয়ে ছিল, সে দেখা দেয় এক নিমেষের অসামান্য আলোকে । সে-সব দুর্মুল্য নিমেষ কোনো রত্নভাণ্ডারে থেকে যায় কি না জানি নে ; এইটুকু জানিতারা এসেছে আমার আত্মবিস্মৃতির মধ্যে, জাগিয়েছে আমার মর্মে বিশ্বমর্মের নিত্যকালের সেই বাণী “আমি আছি । ।