পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, bet" છેודtaחצול তাহে নবপল্লব অরুণক ভাতি । বিমল বিম্বফলযুগল বিকাশ, তা ‘পর কির থির করু। বাস } তা ‘পর চঞ্চল খঞ্জনযোড়, তা ‘পর সাপিনী ঝাপল মোড় । আর বসন্তরায়ের রাধা শ্যামকে দেখিয়া কী বলিতেছেন ?-- সজনি, কি হেরিনু ও মুখশোভা! প্ৰফুল্লিত ইন্দীবর বর সুন্দর মুকুরকান্তি মনোৎসাহা । রূপ বরাণিক কত ভাবিতে থাকিত চিত । চুড়া হেরি জুড়ায় পরাণ! অধর বান্ধুলী ফুল শ্রুতি মণিকুণ্ডল প্রিয় অবতংস বানান। হাসিখানি তাহে ভায় অপাঙ্গ-ইঙ্গিতে চায় । বিদগধ মোহন রায়। মুরলীতে কিবা গায় শুনি আন নাহি ভায়, জাতি কুলশীল দিনু তায় । না দেখিলে প্ৰাণ কাদে দেখিলে না হিয়া বাধে। অনুখন মদনতরঙ্গ ! হেবইতে চাদ মুখ মরমে পরম সুখ, চরণে নূপুর মণি সুমধুর ধ্বনি শুনি ধারণীক ধৈর্যক্ত ভঙ্গ ! ও রাপসাগরে রস- হিলোলে নয়ন মন আটকল রায় বসন্ত । বিদ্যাপতি হইতে উদ্ধৃত কবিতাটি পড়িয়াই বুঝা যায়, এই কবিতাটি রচনা করিবার সময় কবির হৃদয়ে ভাবের আবেশ উপস্থিত হয় নাই। কতকগুলি টানাবোন বর্ণনা করিয়া গোটকতক ছত্র মিলাইয়া দিয়াছেন। আমার বোধ হয় যেন, বিদ্যাপতি কৃষ্ণ হইয়া রাধার রূপ উপভোগ করিতে পারিয়াছেন, কিন্তু রাধা হইয়া কৃষ্ণের রূপ উপভোগ করিতে পারেন নাই। বিদ্যাপতির যে কবিতাটি উদ্ধৃত করিয়াছি, উহা ব্যতীত প্রাচীন কাব্যসংগ্রহে বিদ্যাপতি-রচিত। আর একটি মাত্র কৃষ্ণের রূপবর্ণনা আছে, তাহাও অতি যৎসামান্য। বসন্তরায়ের কৃষ্ণের বর্ণনা পড়িয়া দেখো। কবি এমনি ভাবে মুগ্ধ হইয়া গাহিয়া উঠিয়াছেন যে, প্রথম ছত্ৰ পড়িয়াই আমাদের প্রাণের তার বাজিয়া ওঠে। “সজনি, কি হেরানু ও মুখশোভা!” শ্যামকে দেখিবামাত্রই যে বন্যার মতো এক সৌন্দর্যের স্রোত রাধার মনে আসিয়া পড়িয়াছে, রাধার হৃদয়ে সহসা যেন একটা সৌন্দর্যের আকাশ ভাঙিয়া পড়িয়ছে- একেবারে সহসা অভিভূত হইয়া