পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী د چا S অন্তরে গ্রানি, চতুদিকেই জীৰ্ণতা। আমাদের বাহিরে জাতিতে জাতিতে, বর্ণে বর্ণে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে যেরূপ বিচ্ছেদ, আমাদের নিজের প্রকৃতির মধ্যে, আমাদের ‘চিত্তে বাচি ক্রিয়ায়াং’, মনে বাকো ও কর্মে বিরোধ, শিক্ষায় ও আচরণে বিরোধ, ধর্মে এবং কমে ঐকা নাই- সেই কাপুরুষতায় এবং বিচ্ছিন্নতায় আমাদের সমাজ আমাদের গৃহ আমাদের অন্তঃকরণ অসত্যে আদ্যোপান্ত জর্জরীভূত হইয়াছে। আমাদিগকে এক হইতে হইবে, সতেজ হইতে হইবে, ভয়হীন হইতে হইবে। অজ্ঞান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা উন্নত শিরে দণ্ডায়মান হইব। কে আমাদের বল, কে আমাদের আশ্রয় ? সে কোন সর্বব্যাপী সত্য, কোন অদ্বিতীয় এক, যিনি আমাদিগকে জাতিতে জাতিতে ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায় মনে বাকে) ও কর্মে একতা দান করিবেন ? সংসারের মধ্যে আমরা লোকভয়-মৃত্যুভয়-জয়ী পরমনির্ভর। পাই নাই; সংসার গুরুভার লীেহশঙ্খলে আমাদের অবমানিত মস্তককে আরো অবনত করিয়া রাখিয়াছে, আমাদের জড় দুর্বল দেহকে আরো গতিশক্তিবিহীন করিয়াছে। এই সকল ভয় এবং ভার এবং ক্ষুদ্রতা হইতে ব্ৰহ্মই আমাদের একমাত্র মুক্তি ; দিনে রাত্রে সুপ্তিতে জাগরণে অন্তরে বাহিরে আমরা তাহার মধ্যে আবৃত নিমগ্ন থাকিয়া তাহার মধ্যে সঞ্চরণ করিতেছি— কোনো প্রবল রাজা কোনো পরম শক্ৰ কোনো প্ৰচণ্ড উপদ্রবে। তাহা হইতে আমাদিগকে বঞ্চিত বিচ্ছিন্ন করিতে পরিবে না। আদা আমরা সমস্ত ভীত ধিককত ভারতবর্ষ কি এক হইয়া করজোড়ে উর্ধবমুখে বলিতে পারি না যে— অজাত ইতোবাং কশ্চিষ্ট্রীরুঃ প্ৰতিপদাতে। রুদ্র যত্তে দক্ষিণাং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যং।। তুমি অজাত, জন্মরিহিত, কোনো ভীরু তোমার শরণাপন্ন হইতেছে, হে রুদ্র তোমার যে প্ৰসন্ন মুখ তাহার দ্বারা আমাকে সর্বদা রক্ষা করো। তিনি রহিয়াছেন— ভয় নাই, ভয় নাই । সম্মুখে যদি অজ্ঞান থাকে। তবে দূর করো, অন্যায় থাকে। তবে আক্রমণ করে; অন্ধ সংস্কার বাধাস্বরূপ থাকে। তবে তাহা সকলে ভগ্ন করিয়া ফেলো; কেবল তাহার মুখের দিকে চাও এবং তাহার কর্ম কবো। তাহাতে যদি কেহ অপবাদ দেয়। তবে সে অপবাদ ললাটের তিলক করিয়া লাও, যদি দুঃখ ঘটে। সে দুঃখ মুকুটিরূপে শিরোধাৰ্য করিয়া লাও, যদি মৃত্যু আসন্ন হয় তবে তাহাকে অমৃত বলিয়া গ্রহণ করে। অক্ষয় আশায়, অক্ষুন্ন বলে, অনন্ত প্ৰাণের আশ্বাসে, ব্ৰহ্মসেবার পরম গৌরবে সংসারের সংকটপথে সরলহসদায়ে ঋজুদেহে চলিয়া যাও ; সুখের সময় বলো, অস্তি— তিনি আছেন! দুঃখের সময় বলো, অস্তি— তিনি আছেন ; বিপদের সময় বলো, অস্তি- তিনি আছেন । পরমাত্মার মধ্যে আত্মার অবাধ স্বাধীনতা । অপরিসীম আনন্দ অপরাজিত অভয়লাভ করিয়া সমস্ত অপমান দৈন্য গ্রানি নিঃশেষে প্ৰক্ষালিত করিয়া ফেলো! বলো, যে মহান আজ আত্মা হইতে বাক্য মন নিবৃত্ত হইয়া আসে। আমি সেইখান হইতে uBBOBLBDBDBBD uBBBDS euuBu BB DBB BBB BBS BuBuu BB DBBBS0 DS SBD BOBB BBSS S eHHHuBB SDSS DBDS ন মৃত্যুঃ শোকঃ বলো— ও আপ্যােয়ন্ত মমাঙ্গানি বাকপ্ৰােণশ্চক্ষুঃশ্রোত্ৰমথো। বলমিন্দ্ৰিয়াণি চ সৰ্ব্ববাণি সৰ্ববং ব্ৰহ্মেীপনিষদ ঃ { মাহং ব্ৰহ্ম নিরাকুৰ্য্যাং মা মা ব্ৰহ্ম নিরাকারোৎ অনির্যাকরণমস্তু অনির্যাকরণং মেহন্তু । তদাত্মনি নিরুতে যা উপনিষৎসু ধৰ্ম্মাঃ তে ময়ি সন্তু এতে ময়ি সন্তু ৷ উপনিষৎ-কথিত সর্বাস্তর্ষিামী ব্ৰহ্ম আমার বাক্য প্ৰাণ চক্ষু শ্রোত্ৰ বল ইন্দ্ৰিয়, আমার সমুদয় অঙ্গকে পরিতৃপ্ত করুন ! ব্ৰহ্ম আমাকে পরিত্যাগ করেন নাই, আমি ব্ৰহ্মকে পরিত্যাগ না করি, তিনি অপবিত্যক্ত থাকুন, তিনি আমা-কর্তৃক অপরিত্যক্ত থাকুন; সেই পরমাত্মায়-নিরত আমাতে উপনিষদের যে-সকল ধর্ম তাঁহাই হোক, আমাতে তাঁহাই হোক! 8 -ssfg: essfg: „essfg: 1 zß 8