পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় খণ্ডের ভূমিকা রবীন্দ্র-রচনাবলী 'আচলিত সংগ্রহের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথমাংশে প্রথম খণ্ডের ন্যায়, একদা-মুদ্রিত ও অধুনা-অপ্রচলিত পুস্তক-পুস্তিকা স্থান পাইয়াছে। অচলিত সংগ্রহের প্রথম খণ্ডে ও এই খণ্ডে যে-সকল পুস্তক-পুস্তিকা পুনমূদ্রিত হইল, তাহার অধিক “আচলিত পুস্তক-পুস্তিকার সন্ধান আমরা পাই নাই। বর্তমান খণ্ডের দ্বিতীয় অংশে বিদ্যালয়পাঠ্য পুস্তকাবলী মুদ্রিত হইয়াছে। কিন্তু “সংস্কৃত শিক্ষা প্রথম ভাগ সংগৃহীত না হওয়াতে এই অংশ অসম্পূর্ণ রহিল। এই খণ্ড অনেক দূর মুদ্রিত হইয়া যাইবার পর আনন্দবাজার পত্রিকা'র সুরেশচন্দ্র মজুমদার মহাশয় শ্ৰীমতী কল্যাণী বসুর সংগ্ৰহ হইতে এক খণ্ড ইংরাজি পাঠ" উদ্ধার করিয়া আমাদের দেন। তাহারই সহায়তায় এই খণ্ডের শেষে ইংরাজি পাঠকে স্থান দেওয়া সম্ভব হইয়াছে। যথাসময়ে পুস্তক-পুস্তিকাগুলি সংগৃহীত না হওয়াতে এই খণ্ডে কালানুক্রমিক ভাবে সবগুলি মুদ্রিত হয় নাই। পরবর্তী সংস্করণে তাহ করা চলিবে। যদি ইতিমধ্যে সংস্কৃত শিক্ষা প্রথম ভাগ সংগৃহীত হয় তাহাও পরবর্তী সংস্করণে যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট হইতে পরিবে। এই পুস্তকটির জন্য আমরা সংবাদপত্রে বারংবার আবেদন জানাইয়াছি, যদি কাহারও সন্ধানে ইহা থাকে, তিনি অনুগ্রহপূর্বক আমাদের সহায়তা করিবেন। দুই-একটি রচনায়, যেমন- ‘ব্ৰহ্ম মন্ত্র ও ঔপনিষদ ব্ৰহ্ম’, ‘ইংরাজি সোপান’ ও ‘ইংরেজি শ্রুতিশিক্ষা’, ‘ইংরেজি সহজ শিক্ষা”— পুনরাবৃত্তি লক্ষিত হইবে ! স্থানে স্থানে এক হইলেও ইহাদের মধ্যে পার্থক্যও এত প্রচুর যে, স্বতন্ত্র পুস্তকরূপে এগুলিকে গ্রাহ্য করা ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। “অনুবাদ-চৰ্চা ও ইংরেজি Selected Passages for Bengali Translation- দুইটি ਇਕਿ . ਸ | "ছুটির পড়া’, ‘বিচিত্র পাঠ’, ‘পাঠ্যপরিচয় প্রভৃতি কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক-পুনর্মুদ্রণের আবশ্যকতা আমরা অনুভব করি নাই, কারণ এগুলি সংকলন-গ্ৰন্থ ; যে-সকল রচনা এগুলিতে সংকলিত হইয়াছে সেগুলি প্রচলিত রচনাবলীতে যথাস্থানে মুদ্রিত হইয়াছে বা হইবে। তাহা ছাড়া এগুলিতে অন্যের রচনাও সংকলিত হইয়াছে। ‘সংস্কৃত প্রবেশ' প্ৰথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ এবং “শিক্ষক’ পুস্তকগুলিও আমরা গ্ৰহণ করি নাই। রবীন্দ্রনাথ এগুলির সূচনা ও সম্পাদনা করিয়াছিলেন, রচনা হরিচরণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের। এই প্রসঙ্গে ‘সংস্কৃত প্ৰবেশ হইতে "ভাষার সহিত কিছুমাত্র পরিচয় হইবার পূর্বেই শিশুদিগকে তাহাব বাকরণ শিখাইতে আরম্ভ করা, ভাষাশিক্ষার সদুপায় বলিয়া আমি গণা করি না। এইজনা আমার গৃহে বালকবালিকাদিগকে যখন সংস্কৃত শিখাইবার সময় উপস্থিত হইল, তখন আর কোনো সুবিধা না দেখিয়া নিজে একটা সংস্কৃতপাঠ লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। তাহাতে গোড়া হইতে প্রয়োগশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় আমার যে স্বল্পমাত্র অধিকার আছে— তাহাতে আমার কিছুদূর প্রণালী নির্দেশ করিয়া, দেওয়াই শোভা পায়- সংকটের আশঙ্কা করিয়া তাহার অধিক অগ্রসর হইতে পারি নাই! বোলপুর ব্ৰহ্মচর্যাশ্রম স্থাপিত হইলে পর, সেখানকার ছাত্রদের যখন সংস্কৃতশিক্ষার সুপ্ৰণালী অনুসরণ করা আবশ্যক বোধ করিলাম, তখন আদর্শস্বরূপ “সংস্কৃত প্রবেশ” প্রথম