পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOO) রবীন্দ্র-রচনাবলী করিতেছে। তাহার অনেকগুলি হয়তো আমাতে বিকশিত হইল না, আমার উত্তর পুরুষে বিকশিত হইয়া উঠিবে। এইগুলি এই অতি নিকটের সামগ্ৰীগুলিই যদি আমরা না জানিতে পারিলাম, তবে সমস্ত জগতের আত্মা যে আমার মধ্যে গৃঢ়ভাবে বিরাজ করিতেছে তাহা আমি জানিব কী করিয়া! জগতের হৃদয়ের মধ্য দিয়া আমার হৃদয়ে যে একই সূত্ৰ চলিয়া গিয়াছে তাহা অনুভব করিব কী করিয়া! কিন্তু সে অবিশ্রাম তাহার কার্য করিতেছে। আমি কি জানি বিশ্ব-সংসারের প্রত্যেক পরমাণু অহৰ্নিশি আমাকে আকর্ষণ করিতেছে এবং আমিও বিশ্ব-সংসারের প্রত্যেক পরমাণুকে অবিশ্রাম আকর্ষণ করিতেছি? কিন্তু জানি না বলিয়া কোন কাজটা বন্ধ রহিয়াছে! জগতের বন্ধন বিশ্ব-জগতের মধ্য দিয়া আমাদের মধ্যে যে দৃঢ়সূত্র প্রবাহিত হইয়া গিয়াছে ইহাই ছিন্ন করিয়া ফেলা মুক্তি, এইরূপ কথা শুনা যায়। কিন্তু ছিন্ন করে কাহাব সাধা! আমি আর জগৎ কি স্বতন্ত্ৰ ? কেবল একটা ঘরগড়া বাধনে বাধা ? সেইটে ছিডিয়া ফেলিলেই আমি বাহির হইয়া যাইব ? আমি তো জগৎ-ছাড়া নাই, জগৎ আমা-ছাড়া নয়! আমরা সকলেই জগৎকে গণনা করিবার সময়, আমাকে ছাড়া আর সকলকেই জগতের মধ্যে গণ্য করি, কিন্তু জগৎ তো সে গণনা মানে না! জগৎ দিনরাত্রি অনন্তের দিকে ধাবমান হইতেছে, কিন্তু তথাপি অনন্ত হইতে অনন্ত দূরে। তাঁহাই দেখিয়া অধীক হইয়া আমি যদি মনে কবি জগতের হাত এডাইতে পাবিলেই আমি অনন্ত লাভ করিব, তাহা হয়তো ভ্ৰম হইতে পারে ; অন্যুম্ভের উপরে লাফ দেওয়া তো চলে না ; আমাদের সমন্ত লম্বাককম্প এইখানেই । এই জগতের উপরেই লাফাইতেছি, এই জগতের উপরেই পড়িতেছি। আর এই জগতের হাত হইতে অব্যাহতিই বা পাই কী কবিয়া ? ক’ড়ে আঙুলটা হঠাৎ যদি একদিন এমনতর স্থির করে যে, অসুস্থ শরীরের প্রান্তে বাস কবিয়া আমিও অসুস্থ হইয়া পড়িতেছি, অতএব এ শরীরটা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া আমি আলাদা ঘরকন্না করিগে- সে কিরূপ ছেলেমানুষের মতে কথাটা হয়! সে যতই বাকিতে থাকুক, যতই গা-মোড় দিক, খানিকটা পর্যন্ত তাহার স্বাধীনতা আছে, কিন্তু তাই বলিয়া একেবারে বিচ্ছিন্ন হইবার ক্ষমতা তাহার হাতে নাই ? সমস্ত শরীরের স্বাস্থ্য তাহার সহিত লিপ্ত, এবং তাহার স্বাস্থ্য সমস্ত শরীরের সহিত লিপ্ত জগতের এই পরমাণুরাশি হইতে একটি পরমাণু যদি কেহ সবাইতে পাবিত তবে আর এ জগৎ কোথায় থাকিস্ত! তেমনি এক জনের খেয়ালের উপরে মাত্ৰ নিৰ্ভৰ করিয়া জগতের হিসাবে একটি জীবাত্মা কম পড়িতে পারে এমন সম্ভাবনা যদি থাকে, তাহা হইলে সমস্ত জগৎটা ফেল’ হইয়া যায় ; কিন্তু জগতের খাতায় একপ বিশৃঙ্খলা এরূপ ভুল হইবাক কোনো সম্ভাবনা নাই ; অতএব আমাদের বুঝা উচিত জগতের বিরোধ হওয়াও যা, নিজের বিরোধ হওয়া ও তা জগতের সহিত अप7नट्र 6 टट्टे का যে পথে তপন শশী আলো ধ’রে আছে, সে পথ কবিয়া তুচ্ছ, সে আলো তাজিয়া, ক্ষুদ্র এই আপনার খদ্যোত-আলোকে কেন অন্ধকারে মারি পথ খুঁজে খুঁজে !! পাখি যাবে উড়ে যায় আকাশের পানে, সেও ভাবে এনু বুঝি পৃথিবী তাজিয়া। गट 375, गर्ड &g. गड्ट उठे। गाग কিছুতে পৃথিবী তবু পারে না ত্যজিতে