পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8o SR রবীন্দ্র-রচনাবলী উনিশ ইঞ্চি উচ্চ এবং তাহার শিকড়ের জাল আঠারো ফিট পরিধির অধিক স্থান ব্যাপ্ত করিয়া থাকে। এই শিকড়সকল ভূতলের কেবলমাত্র দুই হইতে চারি ইঞ্চি পর্যন্ত নীচে চলিয়া গিয়াছে; এইজন্য ধারাবর্ষণকে কাজে লাগাইবার পক্ষে ইহারা উপযুক্ত। এই উদ্ভিদের অভ্যন্তরভাগ প্রধানত জলসিঞ্চয়কোষে নির্মিত, এমন-কি, ইহাতে শতকরা ৯৬ অংশ পরিমাণে জল সংগৃহীত হইতে পারে। এইরূপে এই উদ্ভিদ একটি জলাধার হইয়া উঠে এবং অনেক সময়েই পানের পক্ষে এই জল সম্পৰ্ণ উপযুক্ত। צ-b জগতের অধিকাংশ রোগই সজীব বীজাণু-দ্বারা সংঘটিত। ইহারা এত ক্ষুদ্র যে অণুবীক্ষণ বাতীত ইহাদিগকে আমরা দেখিতে পাই না এবং ইহারা আমাদের দেহে প্ৰবেশ করিয়া রক্ত মাংস ধ্বংস করে ও তাঁহাই খাইয়া বাচিয়া থাকে। প্রধানত ইহাদের আকৃতি চারি প্রকারের; ছোটাে ছোটাে গুলির মতো, নয় ঋজু দণ্ডের মতো, নয় দুই গোলপ্রান্তবিশিষ্ট দণ্ডের মতো, অথবা স্ক্রর মতো। ইহারা নিজেকে বিভক্ত করিয়া অথবা ডিম্ব প্রসব করিয়া বংশবৃদ্ধি করে; তাহা এমন ভয়ংকর দ্রুতবেগে করিয়া থাকে যে একটিমাত্র রোগবীজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহুলক্ষ বীজ উৎপাদনা করিতে পারে এবং যে জন্তুকে ইহারা আক্রমণ করিয়াছে বিষ প্ৰস্তুত করিয়া, তাহাকে অবশেষে মারিয়া ফেলিতে পারে। সজীব জন্তুদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিবার পর্বে, মাটির উপরে সঞ্চিত ধূলি এবং ময়লার মধ্যে ইহাদের বাসা থাকে, বিশেষত সে মাটি যদি সেৎসেতে হয়। Ե Հ একটি বেশ মজবুত রকমের জাপানি যুবক চৌরঙ্গার রাস্তা বাহিয়া যাইতেছিল, দুইজন যুরোপীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে তাহার ঝগড়া বাধিল; তাহারা স্থানীয় বায়স্কোপশালায় চলিয়াছিল। জাপানি তাহদের আচরণে বিরক্ত হইয়া বিনা কালব্যয়ে তাহদের উভয়কে চিৎ করিয়া পাডিয়া ফেলিল। নিকটবর্তী কর্মস্থানের দুইজন দারোয়ান সাহেবদের সহায়তা করিতে ছুটিয়া আসিল; কিন্তু যাহাঁদের পক্ষ সমর্থন করিতে আসিল ইহারাও তাঁহাদেরই দশা প্ৰাপ্ত হইল। আরো দুইজন দারোয়ান এবং দুইজন কনস্টেবল ঘটনাস্থানে ছুটিয়া আসিল; তাহদের আগমনের কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখা গেল তাহারাও রাস্তার মাঝখানে লুটাইতেছে। জাপানিকে দেখিয়া বোধ হইল যে, তাহার জুজুৎসু খেলা আরো কিছু দেখাইবার জন্য সে প্ৰস্তুত আছে। শক্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য সে মিষ্ট হাসিমুখে অন্য সকলকে আহবান করিতে লাগিল। একজন যুরোপীয় সার্জেন্ট এই সংকটকালে উপস্থিত হইল এবং তাহার সঙ্গে ফাডি-থানায় যাইতে তাহাকে সবিনয় অনুরোধের দ্বারা রাজি করাইল। গতকাল রিপোর্টে পাওয়া গিয়াছে যে, তাহাকে সাবধান করিয়া ছাডিয়া দেওয়া হইয়াছে। br○ একটি হিন্দুরমণীকে মিথ্যা পরিচয়ে বিবাহ করিবার অপরাধে হরিপুরের পুলিস মনোহর পাল -নামক এক ব্যক্তিকে এইমাত্র গ্রেফতার করিয়াছে। এইরূপ উক্ত হইয়াছে যে, অভিযুক্ত নিজেকে মথুর গাঙ্গুলীর পুত্ৰ ব্ৰজ গাঙ্গুলী নামে অভিহিত করিয়াছিল এবং সে মাধব চক্রবতী নামে একজনের বাড়িতে বাস করিত। ইহাও বর্ণিত হইয়াছে যে, সে মাধবের বাড়িতে বার্ষিক দুর্গাপূজা করিত। কানাই চাটুজে নামে একজনের কাদম্বিনী বলিয়া এক অবিবাহিত ভগিনী ছিল। মথুরের পুত্রকে এ পর্যন্ত খুজিয়া পাওয়া যায় নাই এবং রিপোর্ট দেওয়া হইয়াছিল যে, সে সন্ন্যাসী হইয়া তাহার পিতৃগৃহ ত্যাগ করিয়াছিল। মনোহর ইহাই জানিতে পারিয়া সন্ন্যাসীর মতো চলিতে লাগিল এবং লোককে জানাইল যে, সেই মথুরের নিরুদ্দেশ ছেলে। কানাই তাহার সঙ্গে নিজের বোনের বিবাহের বন্দোবন্ত করে এবং চার বৎসর পূর্বে হিন্দুপ্ৰথামতে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি কানাইয়ের কাছে আসিত এবং