পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミbr झील-खानावर्दी У br\е অপরন্তু ইক্ষর বেলায় গুড় তৈয়ারির মণকরা খরচ অপেক্ষা খেজুর ও তালের বেলায় খরচ কম লাগে। উভয়ত্রই চিনির পরিমাণ নূ্যনাধিক সমান। তাল-গুড়ের রঙের উন্নতি করিতে পারিলে আরো ভালো দাম পাওয়া যাইতে পারিত। সতর্কতার সহিত সংগৃহীত হইলে তালের রস খুবই বিশুদ্ধ হইয়া থাকে এবং ইক্ষা-শর্করা ব্যতীত অন্য জাতীয় চিনি ইহাতে অতিঅল্প থাকে। বাংলা দেশে ভালো পদ্ধতিতে এই রস সংগৃহীত হয় না, কিন্তু এই পদ্ধতির উন্নতি করা যায়। এই রস পাইতে কোনো পেষণযন্ত্র লাগে না। S brዓ ‘গুড হেলথ কাগজে সম্ভবত সম্পাদক Dr. J. H. Kellogg-কর্তৃক কতকটা চমক-লাগানো এই একটি উক্তি প্ৰকাশিত হইয়াছে যে, তারুণ্য ও বার্ধক্যের মধ্যবতী কাল সংক্ষিপ্ত হইয়াছে। অর্থাৎ তিনি মনে করেন, দমনপ্ৰাপ্ত না হইলে যে-সকল অবজননকার শক্তি লোক ধবংস করিবে তাহদেরই প্রভাবে এখন বার্ধক্যের বিশেষ লক্ষণ অপেক্ষাকৃত সকাল সকাল দেখা দিতেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও প্ৰতিষেধক ঔষধের উন্নতিসাধন সত্ত্বেও দীর্ঘ আয়ুতে উপনীত হয় এমন ব্যক্তির পরিমাণ পূর্বের চেয়ে এখন অনেক কম। ডাক্তার কেলগ শঙ্কা করেন যেন যৌবনের সঙ্গে মিলিত হইবার জন্য বাধক্য মন্দ গতিতে নামিয়া আসিতেছে, ইহার ফলে অবশেষে আমরা বিশ বৎসর বয়সে বৃদ্ধ হইয়া উঠিব। Srby গত বিশ বৎসরের মধ্যে, বিশেষভাবে সভ্য দেশসকলে, জাতিগত জীৰ্ণতার প্রমাণ এত প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত হইয়াছে যে, বর্তমান কালে কোনো নৃতত্ত্ব-অনুশীলনকারী এ কথা স্বীকার করিতে দ্বিধা করিবেন না যে, প্ৰত্যেক সভ্যসমাজে যে-সকল অবজনন-প্রভাব বর্তমান, প্ৰত্যহ তাহার প্রবলতা বৃদ্ধি পাইতেছে এবং সমৃলে দমন প্রাপ্ত না হইলে কালক্রমে তাহা অবশ্যই লোকধ্বংস করিবে। লোকসংখ্যার অবশিষ্ট ভাগের তুলনায় শতায় লোকের পরিমাণের সুস্পষ্ট হ্রস্বতীই জনগণের অবজননের সুনিশ্চিত প্ৰমাণসকলের মধ্যে অন্যতম, লেখক প্রায় চল্লিশ বৎসর ধরিয়া তৎপ্রতি লোকের মনোযোগ অভিনির্দেশ করিতেছেন। ফরাসী দেশে শতায় লোকের পরিমাণ জনসংখ্যার এক লক্ষ নকবই হাজারে একজন; ইংলণ্ডে দুই লক্ষে একজন, জর্মানিতে সাত লক্ষে একজন। > br> আজকাল কুইনাইন এবং অন্যান্য সিঙ্কোনা-জাত পদার্থের উৎপাদন অত্যধিক পরিমাণে জাভার ডাচ গভনর্মেন্টের হস্তেই আছে। এই প্রবল একচেটিয়া ব্যবসার প্রতিকুলে ভারতবর্ষে দাৰ্জিলিঙে কয়েকটি এবং উহা অপেক্ষা অল্প পরিমাণে মান্দ্ৰাজ প্রেসিডেন্সির নীলগিরিতে অবস্থিত কয়েকটি সিঙ্কোনার কৃষিক্ষেত্র আমাদের আছে। বর্তমান কাল পর্যন্ত ভারতবর্ষে সিঙ্কোনার কারখানা-সকলকে প্রধানত জাভা হইতে ক্রীত বহুলের উপর অত্যন্ত বেশি নির্ভর করিতে হইয়াছে। ১৮৮৭ হইতে ১৮৯২ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত যত দিন কুইনাইনের প্রয়োজন অল্প ছিল তত দিন বিদেশী গাছ ক্ৰয় করা হয় নাই এবং বাৰ্ষিক যে ৩০০,০০০ পাউন্ড বন্ধলের জোগান পাওয়া যাইত এবং যাহা হইতে ২৬০০ পাউন্ড কুইনাইন উৎপন্ন হইত, তাহাই ভারতবর্ষের তখনকার প্রয়োজনের পক্ষে যথেষ্ট ছিল। ১৮৯২ হইতে ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে চাহিদা যখন বাড়িয়া উঠিল, তখন প্ৰায় ২৫০,০০০ পাউন্ড গাছের ছাল বাংলা দেশেই উৎপন্ন হইয়াছে, কিন্তু অনু্যন ২৫১,৫০০ পাউন্ড ক্র্য করা হইয়াছিল এবং তাহা হইতে ৮০০০ পাউন্ড কুইনাইন উৎপন্ন হয়।