পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8VO as রবীন্দ্র-রচনাবলী সপ্তম পাঠ শ্ৰীশকে বোলো, তার শরীর যদি সুস্থ থাকে। সে যেন বসন্তর দোকানো যায়। সেখান থেকে খাস্তা কচুরি আনা চাই। আর কিছু পেস্তা বাদাম কিনে আনতে হবে। দোকানের রাস্তা সে জানে তো ? বাজারে একটা আস্ত কাতলা মাছ যদি পায়.নিয়ে আসে যেন। আর বস্তা থেকে গুন্তি ক'রে ত্ৰিশটা আলু আনা চাই। এবার আলু খুব সস্তা। একান্ত যদি না পাওয়া যায়, কিছু ওল আনিয়ে নিয়ো। রাস্তায় রোধে খেতে হবে, তার ব্যবস্থা করা দরকার। মনে রেখো- কড়া চাই, খুন্তি চাই, জলের পাত্র একটা নিয়ো। অত ব্যস্ত হয়েছ কেন। আস্তে আস্তে চলো। ক্লান্ত হয়ে পড়বে।-যে। আমি-যে রোজ সকাল হ’লে যাই শহরের দিকে চলে তমিজ মিঞার গোরুর গাড়ি চড়ে, সকাল থেকে সারা দুপুর ইট সাজিয়ে ইটের উপর খেয়ালমত দেয়াল তুলি গড়ে। সমস্ত দিন ছাতপিটুনী গান গেয়ে ছাত পিটোয় শুনি, অনেক নীচে চলছে গাড়ি ঘোড়া। বাসনওয়ালা থালা বাজায়, সুর করে ঐ হাক দিয়ে যায় আতাওয়ালা নিয়ে ফলের ঝোড়া, সাড়ে চারটে বেজে ওঠে, ছেলেরা সব বাসায় ছোটে হোহো ক'রে উড়িয়ে দিয়ে ধুলো,- রোদন্দুর যেই আসে পড়ে পুবের মুখে কোথা ওড়ে দলে দলে ডাক দিয়ে কাকগুলো। আমি তখন দিনের শেষে VSSKK (RIKS GRAN ? আবার ফিরে আসি আপন গায়ে, জানো না কি আমার পাড়া যেখানে ওই খুঁটি-গাড়া পুকুরপাড়ে গাজনতলার বায়ে। অষ্টম পাঠ আর্মানি গির্জের কাছে আপিস। যাওয়া মুশকিল হবে। পূর্বদিকের মেঘ ইস্পাতের মতো কালো। পশ্চিম দিকের মেঘ ঘন নীল। সকালে রৌদ্র ছিল, নিশ্চিন্ত ছিলাম। দেখতে দেখতে বিস্তর মেঘ জমেছে। বাদলা বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলে বাচি। শরীরটা অসুস্থ আছে। মাথা ধরেছে, স্থির হয়ে থাকতে পারছি নে। আপিসের ভাত এখনো হল না। উনানের আগুনটা উস্কিয়ে দাও। ঠাকুর আমার ঝোলে যেন লঙ্কা না দেয়। বঙ্কিমকে আমার অঙ্কের খাতাটা আনতে বোলো। দোতলা ঘরের পালঙ্কের উপর আছে। কঙ্কা খাতা নিয়ে খেলতে গিয়ে তার পাতা ছিড়ে দিয়েছে।