পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজ পাঠ 8心> নবম পাঠ বৃষ্টি নামল দেখছি সৃষ্টিধর, ছাতাটা খুঁজে নিয়ে আয়, না পেলে ভারি কষ্ট হবে। কেষ্ট, শিষ্ট শান্ত হয়ে ঘরে বসে থাকে। দুষ্টমি কোরো না। বৃষ্টিতে ভিজলে অসুখ করবে। সঞ্জীবকে বলে দেব, তোমার জন্যে মিষ্টি লজঞ্চুস এনে দেবে। কাল-যে তোমাকে খেলার খঞ্জনী দিলাম সেটা হারিয়েছ। বুঝি? ও বাড়ি থেকে রঞ্জনকে ডেকে দেব. সে তোমার সঙ্গে খেলা করবে। কাঞ্জিলাল, ব্যাঙগুলো ঘরের মধ্যে আসে-যে, ঘর নষ্ট করবে। ওরে তুষ্ট, ওদের তাড়িয়ে দে।। ঘন মেঘে সব অস্পষ্ট হয়ে এলো। আর দৃষ্টি চলে না। বোষ্টমী গান গাইতে এসেছে। ওকে নিষ্ঠুর হয়ে বাইরে রেখো না। বৃষ্টিতে ভিজে যাবে, কষ্ট পাবে। সেদিন ভোরে দেখি উঠে বৃষ্টি বাদল গেছে ছুটে, বঁশের ডালে ডালে, পূজার সানাই বাজায় দূরে, তিনটে শালিখা ঝগড়া করে রান্নাঘরের চালে। দূরে কাদের ছাদের পরে বেগনি রঙের শাড়ি, চেয়ে চেয়ে চুপ ক’রে রাইতেপান্তরের পার বুঝি ওই, মনে ভাবি ঐখানেতেই আছে রাজার বাড়ি। থাকত। যদি মেঘে-ওড়া তক্ষনি-যে যেতেম। তারে লাগাম দিয়ে কষে, যেতে যেতে নদীর তীরে পথ শুধিয়ে নিতেম আমি গাছের তলায় বসে। দশম পাঠ এত রাত্রে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে কে ? কেউ না, বাতাস ধাক্কা দিচ্ছে। এখন অনেক রাত্রি। উল্লাপাড়ার মাঠে শেয়াল ডাকছে— হুকহুয়া। রাস্তায় ও কি এক্কাগাড়ির শব্দ ? না, মেঘ গুরগুরু করছে। উল্লাস, তুমি যাও তো, কুকুরের বাচ্ছােটা বড়ো চেচাচ্ছে, ঘুমতে দিচ্ছে না। ওকে শান্ত করে এসো। ওটা কিসের ডাক উল্লাস ? অশখ গাছে পেচার ডাক। উচ্ছের ক্ষেত থেকে ঝিল্লি ঐ বি বি করছে। দরজার পাল্লাটা বাতাসে ধড়াস ধড়াস ক’রে পড়ছে! বন্ধ করে দাও। ওটা কি কান্নার শব্দ? না, রান্নাঘর থেকে বিড়াল ডাকছে। যাও-না উল্লাস, থামিয়ে দিয়ে এসোগে। আমার ভয় করছে। বড়ো অন্ধকার। ভজ্বকে ডেকে