পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ প্রশ্ন 8S আহারের অভ্যাস বাংলাদেশের আহার অত্যন্ত অপথ্য, এ কথা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণ হয়ে গেছে। অথচ ভোজনে আমাদের রুচি এতই অত্যন্ত সংস্কারগত যে স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রেখে তার পরিবর্তন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টার গুরুত্ব ব্যক্তিগত ভালোলাগা মন্দা-লাগা নিয়ে নয়। এই কথা মনে রেখে, সমস্ত বাংলাদেশের কল্যাণের প্রতি লক্ষ রেখে, আহার সম্বন্ধে আমাদের রুচি ও অভ্যাসের পরিবর্তন করাই চাই- এ সম্বন্ধে আলোচনা করো। দান প্রতিদান 帅 এই গল্পে রাধামুকুন্দের যে ব্যবহার বর্ণিত হয়েছে তাকে নিন্দ করা যায় কি না এবং যদি করা যায় তবে তা কেন নিন্দনীয় বুঝিয়ে বলে। বলাই গাছপালার উপরে বলাইয়ের ভালোবাসা অসামান্য। তাদের প্রাণের নিগুঢ় আনন্দ ও বেদনা ও যেন আপন ক'রে বুঝতে পারত। গল্পের আরম্ভ অংশে আর যে বর্ণনা আছে সেটা ভালো করে পড়ে বোঝবার চেষ্টা করো। গাছপালার সঙ্গে ওর। প্রকৃতির সাদৃশ্য দেখানো হয়েছে, কেননা ওর স্বভাবটা স্তব্ধ, ওর ভাবনাগুলো অন্তরমুখী, মেঘের ছায়া, অরণ্যের গন্ধ, বৃষ্টির শব্দ, বিকেল বেলার রোদন্দুর গাছেদের মতোই ও যেন সমস্ত দেহ দিয়ে অনুভব করে; আমের বোল ধরবার সময় আমগাছের মজার ভিতরকার চাঞ্চল্য ও যেন নিজের রক্তের মধ্যে জানতে পারত। মাটির ভিতর থেকে গাছের অন্ধুরগুলো ওর সঙ্গে যেন কথা কইত। তরুলতা প্ৰাণের প্রকাশ এনেছিল পৃথিবীতে বহুকোটি বছর আগে। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত দুলোক থেকে আলোক দোহন করে নিয়েছে, পৃথিবী থেকে নিয়েছে প্ৰাণের রস। লেখক বলছেন এই ছেলেটি যেন সেই কোটি বছর আগের বালক, যেন সেই প্রথম প্রাণবিকাশের সমবয়সী।। একটি শিমুল গাছের সঙ্গে কী রকম ক’রে আত্মীয়সম্বন্ধ বেড়ে উঠেছিল এবং তার পরে কী ঘটল। তাই বলে। কবিতা কাঙালিনী ধনীর ঘরে পুজোর আয়োজন ও সমারোহ। আর দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে কাঙালিনী- বিস্তারিত ক'রে এই দৃশ্যের বর্ণনা করো। পুজোবাড়িতে তোমরা যে দৃশ্য দেখেছি সেইটি মনে রেখো। शॉन् জ্যোৎস্নারাত্রে ছেলেটি একলা বিছানায় শুয়ে শুয়ে কী কল্পনা করেছে, আর তার চারি দিকের দৃশ্যটি কী রকম, তোমাদের ভাষায় বলে। এই কবিতার ছন্দের বিশেষত্ব কী। দুই বিঘা জমি এই কবিতার ভাবখানি কী বুঝিয়ে বলে। এই আখ্যানের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বর্ণনার মধ্যে এমন ক’রে রস দেওয়া হয়েছে কেন । । পূজারিনী অজাতশত্রু প্ৰাণদণ্ডের ভয় দেখিয়ে বুদ্ধের পূজা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই প্ৰাণদণ্ডই পূজার ব্যাঘাত না হয়ে পূজাকে কোন চরম মূল্য -দ্বারা মূল্যবান করে তুলেছিল। সেই কথাটি প্রকাশ করে লেখো।