পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ প্রশ্ন 8. কবিতাটিকে এইরূপে গদ্যে ভাষান্তরিত করো। 2ς এই কবিতায় কী প্রশ্ন করা হয়েছে। নতুন কাল এই কাব্যে বিবৃত সে-কালের বর্ণনা করো। সমুদ্রের প্রতি এই কবিতাটির বিশেষত্ব এই যে, এর বিষয়টি গভীর অথচ সমস্তটা ব্যঙ্গের সুরে অবলীলায়িত ভঙ্গিতে লিখিত। অপবাদের ভান ক'রে কবি কী বলছেন সমুদ্রকে, উদ্ধৃত ক'রে দাও। যথা— ধরণীর প্রতি তার ব্যবহার, কিংবা তার নিরর্থক অস্থিরতা। অবশেষে কী বলে তাকে প্ৰশংসা জানাচ্ছেন। যেমন- তার নূতন দেশসৃষ্টির উদ্যম, কিংবা মোক্ষকামী তপস্বীর মতো যোগাসনে তার NAN KE | দেশের লোক কবিকর্তৃক বর্ণিত সাধারণ দেশের লোকের দিনযাত্রা ও মনোভাবের ছবিটি আপন ভাষায় প্ৰকাশ করো। চম্পা বসন্ত যখন শেষ হয়েছে, বিষম বিশ্ব যখন নির্মম গ্রীষ্মের পদানত, তখন আধোক ভয়ে আন্ধেক আনন্দে একলা এল চাপা, রুদ্রের তপোবনে সাহসিকা অন্সরীর মতো। এই কবিতাটির বাকি অংশটুকু এই রকম ক’রে গদ্যে লেখো। লোকালয়ের মাঝখানে হাটের চালাগুলি, সন্ধা বেলায় প্ৰদীপ জ্বলে না, সকাল বেলায় ঝাট পড়ে না, বেচাকেনা। সারা হলেই যে যার ঘরে চলে যায়। এক সময়ে সংসারে আবশ্যাকের ভিড়, আর এক সময়ে প্রয়োজনের শেষে তার শূন্যতা ও উপেক্ষা। এই যে আছে বিপরীতের লীলা, হাটের প্রসঙ্গে কবি তার কী রকম বৰ্ণনা করেছেন জানাও। দেখব। এবার জগৎটাকে জগৎকে সতী ক'রে দেখতে গেলে কেমন ক’রে দেখতে হবে, তার ভিতরের রহস্য অবারিত হয় কিসের আঘাতে, এ সম্বন্ধে কবি নজরুল ইসলামের নির্দেশ কী জানাও। সিন্ধু কবি সমুদ্রকে নমস্কার করছেন। তিনি তার মধ্যে কী ভাব দেখেছেন। এক দিকে দেখছেন তার আত্মনিমগ্ন বিরাট ঔদাসীন্য, আর-এক দিকে তাব দানের অবিশ্রাম অজস্রতা— সেইসঙ্গে তার হৃত ঐশ্বর্য, রিক্ততার শূন্যময়তা, তার গৰ্জিত ক্ৰন্দন। কবির ভাষা অনুসরণ ক'রে এই বিচিত্ৰ ভাবের আলোড়নকে ব্যক্ত করো। গোফ চুরি এই কবিতাটির মজা কোনখানে। আপিসের বড়োবাবু খেপে উঠে গোফ-চুরি ব্যাপারটাকে নিশ্চিত সত্য ব’লে মনে ক’রে প্রতিবাদকারীদেরকে নির্বোধি বলে তর্জন করছেন। এই অসম্ভব ব্যাপারকে কোনো উচ্চপদস্থ লোক সত্য মনে ক’রে আপন মর্যাদা নষ্ট করছে এইটেই কি কৌতুকের বিষয়, অথবা যেটা ঘটে নি, যেটা কেউ বিশ্বাস করে নি, সেটাকে বিশ্বাস করার চোখ-টেপা ভঙ্গিতে কবি গম্ভীর ভাবে ব’লে যাচ্ছেন সেইটেই হাসির কথা। S 2 WD SR