পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

co8 রবীন্দ্র-রচনাবলী খাদ্য চাই এ দেশের জনসাধারণের মধ্যে খাদ্যাভাব লইয়া যে সমস্যা উঠিয়াছে এই প্ৰবন্ধ অবলম্বন করিয়া তাহার আলোচনা করো। थार्थना বিচার করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে এই কবিতায় যে-সকল প্রার্থনার বিষয় ব্যক্ত হইয়াছে আমাদের দেশে তাহার প্রত্যেকটিরই অভাব আছে। সেগুলিকে স্পষ্ট করিয়া বলে। শ্ৰেষ্ঠ ভিক্ষা এই কবিতাটির তাৎপর্য কী। @qf\éÉf၆ এ কবিতায় শিবাজীর প্রতি তাহার শুরু রামদাসের উপদেশের মর্ম ব্যাখ্যা করো। তপস্যা এই কবিতায় যে পয়ার ছন্দ আছে তাহার বিশেষত্ব কী। সূর্যকে তপস্বীরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে, গদ্যে তাহা বিশ্লেষণ করো। শরৎ এই কবিতায় বঙ্গজননীর যে শারদীয়া মূর্তি রচিত হইয়াছে গদ্য ভাষায় তাহার বর্ণনা রূপান্তরিত করো। নমুনা হে মাতঃ বঙ্গ, আজ শরৎ-প্ৰভাতে অমল শোভায় সমুজ্জ্বল কী মধুর মূর্তি তোমার দেখিলাম। ভরা নদী তাহার জলধারা আর বহিতে পারে না, মাঠেও ধান আর ধরে না, তোমার বনসভার দোয়েল কোয়েলের গানে আর বিরাম নাই- হে জননী, শরৎ-প্ৰভাতে তুমি দাড়াইয়া আছ তাহদের সকলের মাঝখানে। হে জননী, তোমার শুভ আহবান নিখিল ভুবনে পরিব্যাপ্ত। তোমার ঘরে ঘরে আজ নূতন ধান্যের নবান্ন। তোমার শস্যের ভার যতই ভরিয়া উঠিবে ততই তোমার আর অবসর থাকিবে না। গ্রামের পথে পথে কাটা শস্যের গন্ধ হওয়ায় হাওয়ায় প্রসারিত হইবে, তোমার আহবানলিপি যে পৌঁছিল সমস্ত ভুবনে। এইখানে একটি কথা বলা উচিত। কবির এই বর্ণনা শরতের নহে। ইহা হেমন্তের আশা করি এই ভ্ৰম সত্ত্বেও কবিতাটি সম্ভোগ করিবার ব্যাঘাত হইবে না। এই কবিতাটির অর্থ কী। ইহার সহিত “অনধিকার প্রবেশ” গল্পের মূল কথাটির ঐক্য আছে, বোধ করি। লক্ষ্য করিয়া থাকিবে। বন্দীবীর এই শ্রেণীর কাব্যে পরীক্ষাপত্রে প্রশ্নোত্তর করিবার কিছু নাই। যাহারা ইচ্ছা করেন। মৃত্যুস্বীকারী শিখবীরদের কথা ইতিহাস হইতে সংগ্ৰহ করিয়া পড়িতে পারেন। এইরূপ কবিতা কণ্ঠস্থ করিয়া আবৃত্তি করিবার যোগ্য। বঙ্গমাতা নিজীব ভালোমানুষি-চৰ্চার বিরুদ্ধে কবির ভৎসনা লক্ষ্য করিয়া এই কবিতাটি তোমার ভাষায় লেখো।