পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6b brC) আসিয়াছে, এবং তাহার অন্যান্য গ্ৰহ সহােদরগণ আসিয়াছে।” অতীতের সেই উষাগর্ভে কবি প্ৰবেশ করিয়াছেন; দেখিলেন অপরিস্ফুট পৃথিবীর কারণপুঞ্জ যেখানে আবর্তিত হইতেছে, আজিকার সদ্যোজাত শিশুটির কারণপুঞ্জ সেইখানে ঘুরিতেছে। উভয়ের বয়স এক; কেবল একজন তুরায় আমাদের চক্ষে প্ৰকাশিত হইয়াছে, আর-একজন প্রকাশিত হইতে বিলম্ব করিয়াছে। Out of the deep, my child, out of the deep, Where all that was to be, in all that was, Whirl'd for a million aeons thro' the vast Waste dawn of multitudinous eddying lightOut of the deep, my child, out of the deep, Thro' all this changing world of changeless law, And every phase of ever-heightening life, And nine long months of antenatal gloom, With this last moon, this crescent- her dark orb Touch'd with earth's light- thou comest, darling boy অতীতের কথা শেষ হইয়াছে, এখন বর্তমানের কথা আসিতেছে। কবি শিশুটির পানে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, অতীত কাল যাহাকে এত যত্নে লালনপালন করিয়া আসিয়াছে, সে কে ? সে তাহারই প্ৰাণাধিক পুত্র। তঁহারই পুত্রকে সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারার সঙ্গে অতীত মাতা এক গর্ভে ধারণ করিয়াছে, এক জ্যোতির্ময় দোলায় দোলাইয়াছে, এক স্তন পান করাইয়া পুষ্ট করিয়াছে, আজ তাঁহারই হস্তে সমপণ করিল। তাহার। আজিকার এই প্ৰাণাধিক বৎস প্রকৃতির এতদিনকার যত্নের ধন। তাহাকে কহিলেন, “তুই আমাদের আপনার ধন। তোর সর্বাংশীসুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও গঠন ভাবী সর্বাঙ্গসুন্দর বয়স্ক পুরুষের ভবিষ্যৎ সূচনা করিতেছে। আমার স্ত্রীর ও আমার মুখ ও গঠন তোর মুখের ও গঠনের মধ্যে অচ্ছেদা বন্ধনে বিবাহিত হইয়াছে।” কবি দেখিলেন, সে নিতান্তই তাহাদের। তাহার শরীর ও দেখিলেন ও কহিলেন live, and be happy in thyself, and serve This mortal race thy kin so well, that men May bless thee as we bless thee, O young life Breaking with laughter from the dark; and may The fated channel where thy motion lives Be prosperously shaped, and sway thy course Along the years of haste and random youth Unshatterd; then full-current thro' full man; And last in kindly curves, with gentlest fall, By quiet fields, a slowly-dying power, To that last deep where we and thou are still. এখন আর সে নিতান্তই তাহদের নহে। এখন তাহার নিজত্ব বিকশিত হইয়াছে। এখন তাহার নিজের কাজ আছে। কবি তাহার মর্ত জীবনের তিনটি অবস্থা সমালোচনা করিয়াছেন। প্ৰথমে মর্ত জীবনের আদি কারণ আলোচনা করিলেন, পরে তাহার জন্ম অর্থাৎ মনুষ্যশরীর-ধারণ আলোচনা করিলেন ও পরে তাহার পার্থিব জীবন আলোচনা করিলেন। এইখানেই সমস্ত ফুরাইল। প্ৰথম সম্ভাষণ শেষ হইল। এই সম্ভাষণে কবি একটি মর্তের মনুষ্যকে সম্ভাষণ করিয়াছেন। যতক্ষণ সে মনুষ্য ততক্ষণ সে তাহার। তাহাকে সমৰ্পণ করিবার জন্যই অতীত ইহাকে গড়িয়াছে। গঠিত অবস্থায় দেখিলেন। সে