পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা brዒ wfit 5°ir West fits. Tiffiti "tast f "We feel we are something- that also has come from Thee" ইহা বর্তমানের কথা, ইহাই আমাদের সত্য। এখন আমরা কিছু 337s, WINSTIV) 22:1f "We know we are nothing- but Thou wilt help us to be“ ইহা ভবিষ্যতের কথা। আমরা জানি আমরা কিছুই নাই- তুমি আমাদের ক্রমশই গঠিত করিয়া তুলিতেছ, আমাদের ব্যক্ত করিয়া তুলিতেছ! মৃত্যুর মধ্য দিয়া নূতন নূতন সত্য, নূতন নূতন জ্ঞান শিখাইয়া আমাদের পূর্ণ ব্যক্তি করিয়া তুলিতেছ। কোনো কালেই তাহা হইতে পারিব না, চিরকালই "Thou wilt help us to be" Osiel 23C its দিকে অগ্রসর হইবার আনন্দ আমরা চিরকাল ভোগ করিব। তোমার জয় হউক। মর্ত জীবনেও এই ক্রমোন্নতির তুলনা মিলে। মনুষ্য প্রথমে এক মহা বাষ্পরাশির মধ্যে, সমস্ত জগতের আদিভূতের মধ্যে মিলিয়া ছিল। ক্রমে ক্ৰমে অল্পে অল্পে পৃথক হইয়া মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করিল। অবশেষে যতই সে বড়ো হইতে লাগিল, অভিজ্ঞতা লাভ করিতে লাগিল, ততই তাহার ব্যক্তিত্ব জন্মিতে লাগিল। এই ক্ৰম-অনুসারেই কবি ঈশ্বরকে প্রথমে অনন্ত ভাব, পরে অপরিমেয় সত্য ও তৎপরে অপরিসীম। পুরুষ বলিয়াছেন। এইখানে কবিতা শেষ হইল। ইহার পরে আর কোথায় যাইবো? ইহাই চূড়ান্ত সীমা! যাহারা একটা দৈত্যকে পর্বত বলিলে, দৈত্যের যষ্টিকে শালবৃক্ষ কহিলে মহান-ভাবে হা করিয়া থাকেন, তাহারা যে এত বড়ো কবিতার মহান ভাব উপলব্ধি করিতে পারেন না ইহাই আশ্চর্য। বস্তুগত মহান ভাব পর্যন্তই বোধ করি তাঁহাদের কল্পনার সীমা, বস্তুর অতীত মহান ভাব তাহারা আয়ত্ত করিতে পারেন না। তাহা যদি পারিতেন। তবে তাহারা এই ক্ষুদ্র কবিতাটিকে সমস্ত Paradise Lost-এর অপেক্ষা মহান বলিয়া বিবেচনা করিতেন। যুরোপের সাহিতো মহাকাবা লিখিবার কাল চলিয়া গিয়াছে। কোনো কবি মহাকাব্য লিখেন না, বলিয়া পড়েন। অনেক সমালোচক দুঃখ করিতেছেন- এখন আর মহাকাব্য লিখা হয় না, কবিত্বের যুগ চলিয়া গিয়াছে। অনেক পণ্ডিতের মত এই যে, সভ্যতার পাড়ে যতই চর পড়িবে কবিত্বের পাড়ে ততই ভাঙন ধরিবে! প্ৰমাণ কী? না, সভ্যতার অপরিণত অবস্থায় মহাকাব্য লেখা হইয়াছে, এখন আর মহাকাব্য লেখা হয় না। তাহদের মতে বোধ করি এমন সময় আসিবে, যখন কোনো কাব্যই লেখা হইবে না। সভ্যতার সমস্ত অঙ্গে যেরূপ পরিবর্তন আরম্ভ হইয়াছে কবিতার অঙ্গেও যে সেইরূপ পরিবর্তন হইবে ইহাই সম্ভবপর বলিয়া বোধ হয়। কবিতা সভ্যতা-ছাড়া একটা আকাশকুসুম নহে। কবিতা নিতান্তই আশমানদার নয়। তাহার সমস্ত ঘরবাড়িই আশমানে নহে। তাহার জমিদারিও যথেষ্ট আছে। সভ্যতার একটা লক্ষণ এই যে, দেশের সভ্য অবস্থায় এক জন ব্যক্তিই সর্বেসর্বা হয় না। দেশ বলিলেই এক জন বা দুই জন বুঝায় না, শাসনতন্ত্ৰ বলিলে এক জন বা দুই জন বুঝায় না। ব্যক্তি নামিয়া আসিতেছে ও মণ্ডলী বিস্তৃত হইতেছে। এখন এক জন ব্যক্তিই লক্ষ লোকের সমষ্টি নহে। এখন শাসনতন্ত্র আলোচনা করিতে হইলে একটি রাজার খেয়াল শিক্ষা ও মনোভাব আলোচনা করিলে চলিবে না; এখন অনেকটা দেখিতে হইবে, অনেককে দেখিতে হইবে। এখন যদি তুমি একটা যন্ত্রের একটা অংশ মাত্ৰ দেখিয়া বল যে ’এ তো খুব অল্প কাজই করিতেছে, তাহা হইলে তুমি ভ্ৰমে পড়িবে। সে যন্ত্রের সকল অঙ্গই পর্যবেক্ষণ করিতে হইবে। এখনকার সভা সমাজে দশটাকে মনে মনে তেরিজ কবিয়া একটাতে পরিণত কর। কবিতাও সে নিয়মের বহির্ভূত নহে। সভ্য দেশের কবিতা এখন যদি তুমি আলোচনা করিতে চাও তবে একটা কাব্য,