পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOS SV Ce7yö s\pso (SfGHIGS) রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী পড়িতেছ। একমনে । ভাঙিল গড়িল কত দেশ, গেল এল কত যুগ- পড়া তব হইল না শেষ । আলোকের দৃষ্টিপথে এই-যে সহস্ৰ খোলা পাতা ইহাতে কি লেখা আছে ভাব-ভবানীর প্ৰেম-গাথা কেমনে দিলেন ধরা সুকোমল দুর্বল সুন্দর বাহুর করুণ আকর্ষণে- কিছু নাহি চাহি যার তিনি কোন চাহিলেন- ভালোবাসিলেন নির্বিকারপরিলেন পরিণয়পাশ । এই-যে প্রেমের লীলা ইহারই কাহিনী বহে হে শৈল, তোমার যত শিলা । ՀԳ তুমি আছ হিমাচল ভারতের অনন্ত সঞ্চিত তপস্যার মতো । স্তব্ধ ভূমানন্দ যেন রোমাঞ্চিত নিবিড় নিগৃঢ়-ভাবের পথ্যশূন্য তোমার নির্জনে, নিষ্কলঙ্ক নীহারের অভ্ৰভেদী আত্মবিসর্জনে । তোমার সহস্ৰ শৃঙ্গ বাহু তুলি কহিছে। নীরবে ঋষির আশ্বাসবাণী, “শুন শুন বিশ্বজন সবে, জেনেছি, জেনেছি। আমি ||” যে ওঙ্কার আনন্দ-আলোতে আদি-অন্ত-বিহীনের অখণ্ড অমৃতলোক-পানে, সে আজি উঠিছে বাজি, গিরি, তব বিপুল পাষাণে । একদিন এ ভারতে বনে বনে হােমাগ্নি-আহুতি সেই বহ্নিবাণী আজি আচল প্ৰস্তরশিখারদীপে শৃঙ্গে শৃঙ্গে কোন মন্ত্র উচ্ছসিছে মেঘধূম্রস্তুপে । ৮ আষাঢ় { ১৩১০] Rbr হে হিমাদ্রি, দেবতাত্মা, শৈলে শৈলে আজিও তোমার অভেদাঙ্গ হরগৌরী আপনারে যেন বারম্বার শৃঙ্গে শৃঙ্গে বিস্তারিয়া ধরিছেন বিচিত্র মুরতি । ওই হেরি ধ্যানাসনে নিত্যকাল স্তব্ধ পশুপতি, দুৰ্গম দুঃসহ মৌন— জাটাপুঞ্জতুষার সংঘাত নিঃশব্দে গ্ৰহণ করে উদয়াস্তরবিরশ্মিপাত পূজাস্বর্ণপদ্মদল ৷ কঠিনপ্রস্তরকলেবর মহান-দরিদ্র, রিক্ত, আভরণহীন দিগম্বর, হেরো তারে অঙ্গে অঙ্গে এ কী লীলা করেছে বেষ্টনমৌনেরে ঘিরেছে গান, স্তব্ধোরে করেছে আলিঙ্গন