পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন উৎসর্গ সফেন চঞ্চল নৃত্য, রিক্ত কঠিনেরে ওই চুমে কোমল শ্যামলশোভা নিত্যািনব পল্লবে কুসুমে পার্বতী মাধুরীচ্ছবি তব শৈলগৃহে হিমগিরি । v vRT5 Svox o জোড়াসাকো ৯ আষাঢ় ১৩১০ ૨છે ভারতসমূদ্র তার বাম্পোচ্ছাস নিশ্বসে গগনে আলোক করিয়া পান, উদাস দক্ষিণসমীরণে অনির্বচনীয় যেন আনন্দের অব্যক্ত আবেগ । উধ্ববাহু হিমাচল, তুমি সেই উদবাহিত মেঘ শিখরে শিখরে তব ছায়াচ্ছন্ন গুহায় গুহায় নূতন আনন্দস্রোতে নব প্ৰাণে ফিরাইয়া দিতে অসীমজিজ্ঞাসারত সেই মহাসমুদ্রের চিতে । সেইমতো ভারতের হৃদয়সমুদ্র এতকাল করিয়াছে উচ্চারণ উধৰ্ব্ব-পানে যে বাণী বিশাল, অনন্তের জ্যোতিস্পর্শে অনন্তেরে যা দিয়েছে ফিরে, রেখেছ সঞ্চয় করি হে হিমাদ্রি, তুমি স্তব্ধ শিরে । তব মৌন শৃঙ্গ-মাঝে তাই আমি ফিরি অন্বেষণে ভারতের পরিচয় শান্ত-শিব-অদ্বৈতের সনে । VO ভারতের কোন বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি তুমি হে আৰ্য আচার্য জগদীশ । কী অদৃশ্য তপোভূমি বিরচিলে এ পাষাণনগরীর শুষ্ক৷ ধূলিতলে । কোথা পেলে সেই শান্তি এ উন্মত্ত জনকোলাহলে যার তলে মগ্ন হয়ে মুহুর্তে বিশ্বের কেন্দ্ৰ-মাঝে দাড়াইলে একা তুমি- এক যেথা একাকী বিরাজে সূর্যচন্দ্ৰ পুষ্পপত্র-পশুপক্ষী-ধুলায়-প্রস্তরেএক তন্দ্ৰাহীন প্ৰাণ নিত্য যেথা নিজ অঙ্ক-"পারে দুলাইছে চরাচর নিঃশব্দ সংগীতে । মোরা যাবে। মত্ত ছিনু অতীতের অতিদূর নিম্বফল গৌরবেপরিবস্ত্রে, পরিবাক্যে, পরিভঙ্গিমার ব্যঙ্গরূপে কল্লোল করিতেছিনু স্ফীতকণ্ঠে ক্ষুদ্র অন্ধকূপে-- তুমি ছিলে কোন দূরে । আপনার স্তব্ধ ধ্যানাসন কোথায় পাতিয়াছিলে । সংযত গভীর করি মন Σ ΟνΘ