পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ যখন গেলে চলে তোমার গ্ৰীবামূলে দীর্ঘ বেণী তব এলিয়ে ছিল খুলে, মাল্যখানি গাথা সঁাজের কোন ফুলে লুটিয়ে পড়েছিল পায়ে । একটুখানি তুমি দাড়িয়ে যদি যেতে ! নতুন ফুলে দেখো কানন ওঠে মেতে, দিতেমা তুৱা করে নবীন মালা গেঁথে কনকচাপা—বনছায়ে । মাঠের পথে যেতে তোমার মালাখানি প’ল কি বেণী হতে খসে আজকে ভাবি তাই বসে । নুপুর ছিল। ঘরে গিয়েছ পায়ে প’রে— নিয়েছ হেথা হতে তাই, অঙ্গে আর কিছু নাই । আকুল কলতানে শতেক রসনায় চরণ ঘোরি তব বঁকাদিছে করুণায়, মুখর করে তবে পথ । জানি না। কী এত যে তোমার ছিল ত্বরা, কিছুতে হল না যে মাথার ভূষা পরা, দিতেম খুঁজে এনে সিথিটি মনোহরা রহিল মনে মনোরথ । হেলায়-বাধা সেই নুপুর—দুটি পায়ে আছে কি পথে গেছে খুলে সে কথা ভাবি তরু মূলে । অনেক গীত গান করেছি। অবসান অনেক সকালে ও সাজে অনেক অবসরে কাজে । দীর্ঘ পথ দিয়ে গেছ সুদূর-পানে, আধোক-জানা সুরে আধোঁক-ভোলা তানে গেয়েছ গুন গুন স্বরে । কেন না গেলে শুনি একটি গান আরোসে গান শুধু তব, সে নহে। আর কারোতুমিও গেলে চলে সময় হল তারো, ফুটিল তব পূজাতরে । SS A