পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰায়শ্চিত্ত RGł6ł প্রতাপাদিত্য । বল কী বৈরাগী ! গারদে তোমার এত আনন্দ কিসের ? ধনঞ্জয় । মহারাজ, রাজ্যে তোমার যেমন আনন্দ তেমনি আনন্দ-অভাব কিসের ? তোমাকে সুখ দিতে পারেন আর আমাকে পারেন না ? প্রতাপাদিত্য। এখন তুমি যাবে কোথায় ? ধনঞ্জয় | রাস্তায় । প্রতাপাদিত্য। বৈরাগী, আমার এক-একবার মনে হয় তোমার ঐ রাস্তাই ভালো- আমার এই রাজ্যটা কিছু না । ধনঞ্জয় । মহারাজ, রাজ্যটাও তো রাস্তা । চলতে পারলেই হল । ওটাকে যে পথ বলে জানে সেই তো পথিক- আমরা কোথায় লাগি ! তা হলে অনুমতি যদি হয় তো এবারকার মতো বেরিয়ে পড়ি । প্রতাপাদিত্য । আচ্ছা, কিন্তু মাধবপুরে যেয়ে না। ধনঞ্জয় । সে কেমন করে বলি ! যখন নিয়ে যাবে তখন কার বাবার সাধ্য বলে যে যাব না ! পঞ্চম অঙ্ক রায়গড় । বসন্ত রায়ের প্রাসাদসংলগ্ন প্ৰান্তর উদয়াদিত্য। মহারাজ যে দাদামশায়কে সহজে নিষ্কৃতি দেবেন। তার সম্ভাবনা নেই। আমি এখানে থেকে তার এই বিপদ ঘনিয়ে তোলা কোনোমতেই উচিত হচ্ছে না । আর দেরি করা না । আজই আমাকে পালাতে হবে। দাদামশায়কে বলে যাওয়া মিথ্যা । তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না । উঃ- আজি সমস্ত দিনটা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে, দুই-এক ফোটা বৃষ্টিও পড়ছে- দেখি দাদামশায় কী করছেন, তাকে- ও দিকে কে একটা লোক সরে গেল, ও আবার কে ? পশ্চাৎ হইতে মুক্তিয়ার খার প্রবেশ ও সেলাম সম্মুখ হইতে দুইজন সৈন্যের প্রবেশ ও সেলাম উদয়াদিত্য। কে ! মুক্তিয়ার খ্যা ? কী খবর ? ? মুক্তিয়ার। জনাব, আমাদের মহারাজের কাছ থেকে আদেশ নিয়ে এসেছি। উদয়াদিত্য। কী আদেশ মুক্তিয়ার ? : উদয়দিত্যের হন্তে মুক্তিয়ার ধার আদেশপত্ৰ প্ৰদান উদয়াদিত্য। এর জন্য এত সৈন্যের প্রয়োজন কী ? আমাকে একখানা পত্র লিখে আদেশ করলেই