পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&br রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী আমি যখন বাবার খাতা টেনে লিখি বসে দোয়াত কলম এনেক খ গ ঘ ঙ হ য ব রা, আমার বেলা কেন মা, রাগ কর । বাবা যখন লেখে কথা কও না দেখে । বড়ো বড়ো রুল-কাটা কাগজ নষ্ট বাবা করেন না কি রোজ । আমি যদি নেীকো করতে চাই অমনি বল, “নষ্ট করতে নাই ।” সাদা কাগজ কালো করলে বুঝি ভালো ? বীরপুরুষ মাকে নিয়ে যাচ্ছি। অনেক দূরে । তুমি যােচ্ছ পালকিতে মা চড়ে আমি যাচ্ছি। রাঙা ঘোড়ার পরে টগবিগিয়ে তোমার পাশে পাশে । রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে । এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে । ধুধু করে যে দিক-পানে চাই, কোনোখানে জনমানব নাই, তুমি যেন আপন-মনে তাই ভয় পেয়েছ- ভাবিছ, “এলেম কোথা !" আমি বলছি, “ভয় কোরো না মা গো, ওই দেখা যায় মরা নদীর সোতা ।” মাঝখানেতে পথ গিয়েছে বেঁকে । গোরু বাছুর নেইকো কোনোখানে, সন্ধে হতেই গেছে গায়ের পানে, আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে, অন্ধকারে দেখা যায় না। ভালো । “দিঘির ধারে ওই যে কিসের আলো !”