পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা 8 Ved নিকোটিনের বঁাজ নেই, আছে গোলাপ জলের স্নিগ্ধ গন্ধ ।” মেয়েটি নিজের ত্রুটি ব্যাখ্যা করে বললে, “একজন বন্ধু আসার খবর পেয়ে খুঁজতে বেরিয়েছিলুম। এই রাস্তায় খানিকটা উঠতেই শোফার বলেছিল, এ রাস্তা হতে পারে না। তখন শেষ পর্যন্ত না গিয়ে ফেরবার উপায় ছিল না । তাই উপরে চলেছিলেম । এমন সময় উপরওয়ালার ধাক্কা খেতে হল ।” অমিত বললে, “উপরওয়ালার উপরেও উপরওয়ালা আছে- একটা অতি কুশ্ৰী কুটিল গ্ৰহ, এ उानश् कूकीऊिँ ।।” অপর পক্ষের ড্রাইভার জানালে, “লোকসান বেশি হয় নি, কিন্তু গাড়ি সেরে নিতে দেরি হবে ।” অমিত বললে, “আমার অপরাধী গাড়িটাকে যদি ক্ষমা করেন। তবে আপনি যেখানে অনুমতি করবেন। সেইখানেই পৌছিয়ে দিতে পারি ।” “দরকার হবে না, পাহাড়ে হেঁটে চলা আমার অভ্যোস ।” “দরকার আমারই, মাপ করলেন তার প্রমাণ ।” মেয়েটি ঈষৎ দ্বিধায় নীরব রইল। অমিত বললে, “আমার তরফে আরো একটু কথা আছে। গাড়ি হাঁকাই- বিশেষ একটা মহৎ কর্ম নয়- এ গাড়ি চালিয়ে পাস্টারিটি পর্যন্ত পৌছবার পথ নেই। তবু আরম্ভে এই একটিমাত্র পরিচয়ই পেয়েছেন। অথচ এমনি কপাল, সেটুকুর মধ্যেও গলদ । উপসংহারে এটুকু দেখাতে দিন যে, জগতে অন্তত আপনার শোফারের চেয়ে আমি অযোগ্য নই।” অপরিচিতের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে অজানা বিপদের আশঙ্কায় মেয়েরা সংকোচ সরাতে চায় না । কিন্তু বিপদের এক ধাক্কায় উপক্ৰমণিকার অনেকখানি বিস্তৃত বেড়া এক দমে গেল ভেঙে। কোন দৈব নির্জন পাহাড়ের পথে হঠাৎ মাঝখানে দাড় করিয়ে দুজনের মনে দেখাদেখির গাঠ বেঁধে দিলে ; সবুর করলে না। আকস্মিকের বিদ্যুৎ-আলোতে এমন করে যা চোখে পড়ল, প্রায় মাঝে মাঝে এ যে রাত্রে জেগে উঠে অন্ধকারের পটে দেখা যাবে। চৈতন্যের মাঝখানটাতে তার গভীর ছাপ পড়ে গেল, নীল আকাশের উপরে সৃষ্টির কোন এক প্রচণ্ড ধাক্কায় যেমন সূর্য-নক্ষত্রের আগুন-জুলা ছাপ | | মুখে কথা না বলে মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসল। তার নির্দেশমত গাড়ি পৌঁছল যথাস্থানে। মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে বললে, “কাল যদি আপনার সময় থাকে একবার এখানে আসবেন, আমাদের কর্তা-মাের সঙ্গে আপনার আলাপ করিয়ে দেব।” অমিতার ইচ্ছে হল বলে, “আমার সময়ের অভাব নেই, এখনই আসতে পারি।” সংকোচে বলতে °ळ • | বাড়ি ফিরে এসে ওর নোট-বই নিয়ে লিখতে লাগল, “পথ আজ হঠাৎ এ কী পাগলামি করলে । দুজনকে দু জায়গা থেকে ছিড়ে এনে আজ থেকে হয়তো এক রাস্তায় চালান করে দিলে। অ্যােষ্ট্ৰনমার ভুল বলেছে। অজানা আকাশ থেকে চাঁদ এসে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে- লািগল তাদের মোটরে মোটরে ধাক্কা, সেই মরণের তাড়নার পর থেকে যুগে যুগে দুজনে একসঙ্গেই চলেছে ; এর আলো ওরা মুখে পড়ে, ওর আলো এর মুখে । চলার বঁাধন আর ছেড়ে না। মনের ভিতরটা বলছে, আমাদের শুরু হল যুগলচলন, আমরা চলার সূত্রে গাথব ক্ষণে ক্ষণে কুড়িয়ে-পাওয়া উজ্জ্বল নিমেষগুলির মালা । বাধা মুকুত খেরদিতে ভাগের ধারে পড়ে থাকবার জাে ছিল না। আমাদের দেনাপাওনা সবই হবে হঠাৎ ৷” বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। বারান্দায় ঘন ঘন পায়চারি করতে করতে অমিত মনে মনে বলে উঠল, “কোথায় আছ নিবারণ চক্রবতী । এইবার ভর করো আমার পরে, বাণী দাও, বাণী দাও !” বেরোল লম্বা সরু খাতাটা, নিবারণ চক্রবতী বলে গেল- “ °थ बैक्ष निल दझनशैन शहि, আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পহী। রঙিন নিমেষ ধুলার ,দুলাল পরানে ছড়ায়ে আবীর গুলাল,