পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԵՏ রবীন্দ্র-রচনাবলী ছিন্ন হবে ডোরতোরে মুক্তি দিয়ে তবে মুক্তি হবে মোর। ঠিক এই তানটি আপনার নামজাদা লেখকের মধ্যে পাবেন না, সূৰ্য্যমণ্ডলে এ যেন আগুনের ঝড়। এ শুধু লিরিক নয়, এ নিষ্ঠুর জীবনতত্ত্ব।”— লাবণ্যর মুখের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে বললে— দিন যায়, সন্ধ্যা হয়, সময় রবে না, তীব্র আকস্মিক বাধা বন্ধ ছিন্ন করি দিক, তোমারে চেনার অগ্নি দীপ্তশিখা উঠক উজ্জ্বলি, দিব তাহে জীবন অঞ্জলি ।” আবৃত্তি শেষ হতে-না-হতেই অমিত লাবণ্যর হাত চেপে ধরলে। লাবণ্য হাত ছাড়িয়ে নিলে না। অমিতর মুখের দিকে চাইলে, কিছু বললে না। এর পরে কোনো কথা বলবার কোনো দরকার হল না । লাবণ্য ঘড়ির দিকে চাইতেও ভুলে গেল । ঘটকালি অমিত যোগমায়ার কাছে এসে বললে, “মাসিমা, ঘটকালি করতে এলেম । বিদায়ের বেলা কৃপণতা করবেন না ।” “পছন্দ হলে তবে তো । আগে নাম ধাম বিবরণটা বলে ।” “তা হলে ঘটক-বিদায়ের হিসাব থেকে কিছু বাদ পড়বে দেখছি।” “অন্যায় কথা বললেন । নাম যার বড়ো তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি ।। ঘরের মন-রক্ষার চেয়ে বাইরে মান-রক্ষাতেই তার যত সময় যায়। মানুষটার অতি অল্প অংশই পড়ে স্ত্রীর ভাগে, পুরো বিবাহের পক্ষে সেটুকু যথেষ্ট নয়। নামজাদা মানুষের বিবাহ স্বল্পবিবাহ, বহুবিবাহের মতোই গৰ্হিত ।” “আচ্ছা, নামটা নাহয় খাটাে হল, রূপটা ?” “বলতে ইচ্ছে করি নে, পাছে অত্যুক্তি করে বসি ।” “অত্যুক্তির জোরেই বুঝি বাজারে চালাতে হবে ?” “পাত্র-বাছাইয়ের বেলায় দুটি জিনিস লক্ষ করা চাই- নামের দ্বারা বর যেন ঘরকে ছাড়িয়ে না। যায়, আর রূপের দ্বারা কনেকে ৷” “আচ্ছা নােমরূপ থাক, বাকিটা ?” দুটাে লৈ সব জড়িয়ে স্টেকে বলে পার্থ। তা লোক অপদাৰ্থ নয়।” “বদ্ধি ?” সুপ্রিল মাতে একে বুদ্ধিমান বলে হঠাৎ ভ্রম করে স্ট্রেক বৃদ্ধি গুর আছে ? ' ?" f “স্বয়ং নিউটনের মতো। ও জানে যে, জ্ঞানসমুদ্রের কুলে সে নুড়ি কুড়িয়েছে মাত্র । তাঁর মতো সাহস করে বলতে পারে না, পাছে লোকে ফস করে বিশ্বাস করে বসে।” “পাত্রের যোগ্যতার ফর্দটা তো দেখছি কিছু খাটাে গোছের ।” পূর্ণর পূর্ণতা প্রকাশ করতে হবে বলেই শিব নেিজকে ভিখাির শুরু করেন, এল্সও লজ "