পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8tr এই মানসীরূপিণী সাধনার ধনকে পরিপূর্ণরূপে লাভ করিবার জন্য কাতরতা প্রকাশ করিয়া কবি রবীন্দ্র-রচনাবলী যত মনে অভিলাষ । তত তুমি ভালোবাসো, তত মনপ্ৰাণ ভরে আমি ভালোবাসি । ভক্তিভারে একতানে কমলার ধনে মানে নাহি অভিলাষী ।” প্ৰথম সর্গ সমাপ্ত করিয়াছেন । তাহার পর-সর্গ হইতে প্রেমিকের ব্যাকুলতা। কখনো অভিমান কখনো বিরহ, কখনো আনন্দ কখনো বেদনা, কখনো ভৎসনা কখনো স্তব। দেবী কবির প্রণয়িনী রূপে উদিত হইয়া বিচিত্ৰ সুখদুঃখে শতধারে সংগীত উচ্ছসিত করিয়া তুলিতেছেন । কবি কখনো তঁহাকে পাইতেছেন কখনো তঁহাকে হারাইতেছেন- কখনো তাহার অভয়ারাপ কখনো তঁহার সংহারমূর্তি দেখিতেছেন। কখনো তিনি অভিমানিনী, কখনো বিষাদিনী, কখনো আনন্দময়ী । কবি বিষাদিনীকে বলিতেছেন “অয়ি, এ কী, কেন কেন, বিষন্ন হইলে হেন অধরে মন্থরে আসি থরথার ওষ্ঠাধর, স্ফোরে না বচন ! তেমন অরণ-রেখা প্রভাত-প্ৰতিমা আজি কেন গা মলিন ? বলো বলে চন্দ্ৰােননে, কে ব্যথা দিয়েছে মনে, কে এমন- কে এমন হৃদয়বিহীন ! করুণা-কটাক্ষ-দানে । চাবে না। আমার পানে, কবেও না কথা । কেন যে কবে না হয় হৃদয় জানিতে চায়, শরমে কি বাধে বাণী, মরমে বা বাজে ব্যথা । ~ যদি মর্মব্যথা নয়, কোন অশ্রুধারা ব্যয় । দেববালা ছলাকলা জানে না। কখন সরল মধুর প্রাণ, সতত মুখেতে গান, : আপন বীণার তানে আপনি মগন । সত্যরূপ সরস্বতী, । চির-অনুরক্ত ভক্ত হয়ে কৃতাঞ্জলি