পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(፩br8 . রবীন্দ্র-রচনাবলী ইহা কবিতা, কিন্তু গান নহে। সুরসংযোগে গাঁহিলেও ইহাকে গান বলিতে পারি না। ইহাতে ভাব আছে এবং ভাবপ্রকাশের নৈপুণ্যও আছে কিন্তু ভাবের সেই স্বত-উচ্ছসিত সদ্য-উৎসারিত আবেগ নাই যাহা পাঠকের হৃদয়ের মধ্যে প্ৰহত তন্ত্রীর ন্যায় একটা সংগীতময় কম্পন উৎপাদন করিয়া তোলে। ছিল বসি সে কুসুমকাননে । আর অমল অরুণ উজলি আভা i ভাসিতেছিল। সে আননে । ছিল এলায়ে সে কেশরাশি (ছায়াসম হে) ; ছিল ললাটে দিব্য আলোক, শান্তি অতুল গরিমারাশি । সেথা ছিল না বিষাদ ভাষা (অশ্রদ্ভরা গো) ; সেথা বাধা ছিল শুধু সুখের স্মৃতি হাসি, হরষ, আশা ; । সেথা ঘুমায়ে ছিল রে পুণ্য, গ্ৰীতি প্ৰাণভরা ভালোবাসা । তার সরল সুঠাম দেহ (প্রভাময় গো, প্রাণভরা গো) ; [न्म যা-কিছু কোমল ললিত তা দিয়ে রচিয়াছে তাহে কেহ ; পরে সৃজিল সেথায় স্বপন, সংগীত, সোহাগ শরীম স্নেহ । যেন পাইল রে উষা প্ৰাণ (আলোময়ী রে) ; 6न्म छीदg কুসুম কনকভাতি যেন সজীব সুরভি মধুর মলয় જીક્ષુ চাহিল সে মোর পানে (একবার গো) ; যেন বাজিল বীণা মুরজ মুরলী অমনি অধীর প্রাণে সে গেল কী দিয়া, কী নিয়া, বাধি মোর হিয়া কী মন্ত্রগুণে কে জানে । এই কবিতাটির মধ্যে যে রস আছে তাহাকে আমরা গীতরসি নাম দিতে পারি। অর্থাৎ লেখক একটি সুখস্মৃতি এবং সৌন্দর্যস্বপ্নে আমাদের মনকে যেরূপ ভাবে আবিষ্ট করিয়া তুলিতে চাহেন তাহা সংগীত দ্বারা সাধিত হইয়া থাকে এবং যখন কোনো কবিতা বিশেষ মন্ত্রগুণে অনুরূপ ফল প্ৰদান করে তখন মনের মধ্যে যেন একটি অব্যক্ত গীতধ্বনি গুঞ্জরিত হইতে থাকে। র্যাহারা বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করিয়াছেন, অন্যান্য কবিতা হইতে গানের কবিতার স্বাতন্ত্র্য র্তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিতে হইবে না। আমরা সামান্য কথাবার্তার মধ্যেও যখন সৌন্দর্যের অথবা অনুভবের আবেগ প্রকাশ করিতে চাহি তখন স্বতই আমাদের কথার সঙ্গে সুরের ভঙ্গি মিলিয়া যায়। সেইজন্য কবিতায় যখন বিশুদ্ধ সৌন্দর্যমোহ অথবা ভাবের উচ্ছাস ব্যক্ত হয় তখন কথা তাহার চিরসঙ্গী সংগীতের জন্য একটা আকাঙক্ষা প্রকাশ করিতে থাকে।-- ስ

  1. এসো এসো বঁধু এসো, আধো আঁচরে বসো,

নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি !" এই পদটিতে যে গভীর প্রীতি এবং একান্ত আত্মসমৰ্পণ প্ৰকাশ পাইয়াছে তাহা কি কথার দ্বারা