পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WeV9SR ब्रदोक्ष-ब्रा5नादकी পরিত্যাগ করিয়ো, নিজের প্রতি অক্ষুন্ন আস্থা রাখিয়ো । কারণ, নিশ্চয়ই জগতে তোমার একান্ত প্রয়োজন আছে, সেইজন্য বহু দুঃখেও তুমি বিনাশপ্ৰাপ্ত হও নাই। অন্যের বাহ্য অনুকরণের চেষ্টা করিয়া তুমি যে এতকাল পরে একটা ঐতিহাসিক প্রহসন রচনা করিবার জন্য এতদিন বীচিয়া আছ তাহা কখনোই নহে। তুমি যাহা হইবে, যাহা করিবে, অন্য দেশের ইতিহাসে তাহার নমুনা নাইতোমার যথাস্থানে তুমি বিশ্বভুবনের সকলের চেয়ে মহৎ । হে আমার স্বদেশ, মহাপর্বতমালার পদমূলে মহাসমুদ্রপরিবেষ্টিত তোমার আসন বিত্তীর্ণ রহিয়াছে। এই আসনের সম্মুখে হিন্দু মুসলমান খৃস্টান বৌদ্ধ বিধাতার আহবানে আকৃষ্ট হইয়া বহুদিন হইতে প্রতীক্ষা করিতেছে। তোমার এই আসন তুমি যখন পুনর্বার একদিন গ্রহণ করিবে তখন, আমি নিশ্চয় জানি, তোমার মন্ত্রে কী জ্ঞানের কী কর্মের কী ধর্মের অনেক বিরোধ মীমাংসা হইয়া যাইবে, এবং তোমার চরণপ্রান্তে আধুনিক নিষ্ঠুর পোলিটিক্যাল কালভুজঙ্গের বিদ্বেষী বিষাক্ত দৰ্প পরিশান্ত হইবে। তুমি চঞ্চল হইয়ে না, লুব্ধ হইয়াে না, ভীত হইয়ো न । फूभि আত্মানং বিদ্ধি । আপনাকে জানো । KR উক্তিষ্ঠিত জাগ্ৰত প্ৰাপ্য বরান নিবোধত । ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দূরত্যয়া দুর্গং পথ্যস্তৎ কবয়ো বদন্তি ৷ উঠো, জাগো, যাহা শ্রেষ্ঠ তাহাই পাইয়া প্রবুদ্ধ হও । যাহা যথার্থ পথ তাহা ক্ষুরধারশানিত দুৰ্গম দুরত্যয়, কবিরা এইরূপ বলিয়া থাকেন। Y\3)Y S, বহুরাজকতা সাবেক কালের সঙ্গে এখনকার কালের তুলনা করিতে আমরা ছাড়ি না। সাবেক কাল যখন হাজির নাই তখন একতরফা বিচারে যাহা হইতে পারে তাঁহাই ঘটিয়া থাকে, অর্থাৎ বিচারকের মেজাজ অনুসারে কখনো-বা সেকালের ভাগ্যে যশ জোটে, কখনো-বা একালের জিত হয় । কিন্তু এমন বিচারের উপরে ७दनों दी थीं यश की । s আমাদের পক্ষে মোগলের আমল সুখের ছিল কি ইংরেজের আমল সুখের, গোটাকতক মোটা মােটা সাক্ষীর কথা শুনিয়াই তাহার শেষ-নিষ্পত্তি হইতে পারে না। নানা সূক্ষ্ম জিনিসের উপর মানুষের সুখদুঃখ নির্ভর করে, সে-সমস্ত তন্ন তন্ন করিয়া দেখা সম্ভবপর নয়। বিশেষত যে কালটা গেছে সে আপনার অনেক সাক্ষীসাবুদ সঙ্গে লইয়া গেছে। কিন্তু সেকাল-একালের একটা মস্ত প্ৰভেদ ছোটােবড়ো আর-সমস্ত প্রভেদের উপরে মাথা তুলিয়া । আছে । এই প্ৰভেদটা যেমন সকলের চেয়ে বড়ো তেমনি নিশ্চয়ই এই প্ৰভেদের ফলাফলও আমাদের । দেশের পক্ষে সকলের চেয়ে গুরুতর । আমাদের এই ছোটো প্রবন্ধে আমরা সেই প্ৰভেদটির কথাই সংক্ষেপে পাড়িয়া দেখিতে চাই । r ইতিপূর্বে ভারতবর্ষের সিংহাসনে একজন বাদশাহ ছিল, তাহার পরে একটি কোম্পানি বসিয়াছিল, এখন একটি জাতি বসিয়াছে। আগে ছিল এক, এখন হইয়াছে অনেক । এ কথাটা এতই সোজা যে, ইহা প্রমাণ করিবার জন্য কোনো সূক্ষ্ম তর্কের প্রয়োজন হয় না। বাদশা যখন ছিলেন তখন তিনি জানিতেন, সমস্ত ভারতবর্ষ তারই ; এখন ইংরেজ জাত জানে, ভারতবর্ষ তাঁহাদের সকলেরই। একটা রাজপরিবার মাত্র নহে, সমস্ত ইংরেজ জাতটা এই ভারতবর্ষকে লইয়া সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইয়া উঠিয়াছে। , খুব সম্ভব বাদশাহের অত্যাচার যথেষ্ট ছিল। এখন অত্যাচার নাই, কিন্তু বোঝা আছে। হাতির পিঠে