রবীন্দ্র-রচনাবলী আঞ্জ নুতনও তাদের দাবি করে, পুরাতনও তাদের ত্যাগ করেনি। কি শিল্পকলায়, কি সাহিত্যে যদি তার যথেষ্ট প্রমাণ না থাকত তা হলে বলতে হত, স্বষ্টিকর্তা মানুষের মন আপন পিছনের রাস্তু ক্রমাগত পুড়িয়ে ফেলতে ফেলতেই চলেছে । কথাটা তো সত্য নয় । মানুষ সামনের দিকে যেমন অগ্রসরণ করে তেমনি অনুসরণ করে, পিছনের, নইলে তার চলাই হয় না । পিছনহারা সাহিত্য বলে যদি কিছু থাকে সে কবন্ধ, সে অস্বাভাবিক । তাই বলছি, আজ যারা আমার রচনাকে স্থায়ী সম্মানের রূপ দিতে প্রবৃত্ত হয়েছেন তারা আপন রুচি ও সংস্কৃতি অনুসারে তার স্থায়িত্ব উপলব্ধি করেছেন। মানুষ আপনার এই উপলব্ধিকে বিশ্বাস করেই পাকা ইমারতের কাজ ফঁাদে,— ভুল হতে পারে কিন্তু ভুল না হওয়ার সম্ভাবনাকে মানুষ যে আস্থা করে সেই আস্থারই মূল্য বেশি। বর্তমান অনুষ্ঠানকর্তাদের সম্বন্ধে এই হচ্ছে বলবার কথা। আর আমার কথা যদি বল, আমি মনুর উপদেশ মানব, নাভিনন্দেত মরণং নাভিনন্দেত জীবিতং । যে যায় যাক, যে থাকে থাক । সেই সঙ্গে মিথ্যা বিনয়ের ভান করব না । বন্ধুরা আমার এতকালের অধ্যবসায়কে যে নিশ্চিত শ্রদ্ধার মূল্য দিতে প্রবৃত্ত হয়েছেন আমিও তাকে শ্রদ্ধা করে সেই দানের মধ্যে আমার শেষ পুরস্কার গ্রহণ করব । কাল তাদের ফাকি দেবে না এবং বিড়ম্বন করবে না কবিকেও, এই কথায় সংশয় করার চেয়ে বিশ্বাস করাতে উপস্থিত লাভ, কেননা কালের দরবারে এর শেষ মীমাংসার সম্ভাবনা দূরে আছে। সবশেষে এই কথা জানিয়ে রাখছি, যারা এই গ্রন্থপ্রকাশের ভার নিয়েছেন তাদের দুঃসাধ্য কাজে আমি যথাসাধ্য দৃষ্টি রাখব এবং তারা আমার সমর্থনের অনুসরণ করবেন । 蠱 疊 ססי טאן eפא শ্ৰীনিকেতন * 悍 ஆாஜன்
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
