পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবি ও গান শুনি যেন মেহবাণী, কোমল ও হাতখানি প্ৰাণের গায়েতে যেন লাগে । তোরে যেন চিনিতাম, তোর কাছে শুনিতাম কত কী কাহিনী সন্ধেবেলা । যেন মনে নাই কবে কাছে বসি মোরা সবে তোর কাছে করিতাম খেলা । যেন তোর স্নেহ পেয়ে তোর মুখপানে চেয়ে আবার সে খেলাইতে যায় । আঁখি হতে মেহকুড়াইছে । কী যেন জান গো ভাষা, কী যেন দিতেছ। আশা আঁখি দিয়ে পরান উথলে— চারি দিকে ফুলগুলি কচি কচি বাহু তুলি * কোলে নাও” “কোলে নাও” বলে । কারে যেন কাছে ডাক, যেথা তুমি বসে থাক তার চারি দিকে থাক তুমি— তোমার আপনা দিয়ে হাসিময়ী শান্তি দিয়ে পূৰ্ণ কর চরাচরভূমি । তোমাতে পুরেছে বন, পূর্ণ হল সমীরণ, তোমাতে পুরেছে। লতাপাত । ফুল দূরে থেকে চায়— তোমার পরশ পায়, লুটায় তোমার কোলে মাথা । তোমার প্রাণের বিভা চৌদিকে দুলিছে কিবা আজিকে প্ৰভাতে এ কি মেহের প্রতিমা দেখি বসে আছ জগতের কোলে ! কেহ মুখে চেয়ে থাকে, কেহ তোরে কাছে ডাকে, কেহ তোর কোলে খেলা করে । তুমি শুধু স্তব্ধ হয়ে * একটি কথা না কয়ে চেয়ে আছ আনন্দের ভরে । ওই-যে তোমার কাছে সকলে দাড়ায়ে আছে ওরা মোর আপনার লোক, ওরাও আমারি মতো তোর মেহে আছে রত জুই বেলা বকুল অশোক । বড়ো সাধ যায় তোরে ফুল হয়ে থাকি ঘিরে কাননে ফুলের সাথে মিশে— SS G.