পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল ভবিষ্যতের রঙ্গভূমিY সম্মুখে রয়েছে পড়ি যুগ-যুগান্তর । অসীম নীলিমে লুটে ধরণী ধাইবে ছুটে, প্রতিদিন আসিবে, যাইবে রবিকর । প্ৰতিসন্ধ্যা শ্রান্তদেহে ফিরিয়া আসিবে গেহে। প্রতিরাত্রে তারকা ফুটিবে সারি সারি । কত আনন্দের ছবি, কত সুখ আশা আসিবে যাইবে হয়, সুখ-স্বপনের প্রায় কত প্ৰাণে জাগিবে, মিলাবে ভালোবাসা । তখনো রে কত লোকে কত স্নিগ্ধ চন্দ্রালোকে আঁকিবে আকাশ-পটে সুখের স্বপন । নিবিলে দিনের আলো, সন্ধ্যা হলে, নিতি বিরহী নদীর ধারে না জানি ভাবিবে কারে, না জানি সে কী কাহিনী, কী সুখ, কী স্মৃতি । দূর হতে আসিতেছে, শুন কান পেতে— কত গান, সেই মহা-রঙ্গভূমি হতে তরঙ্গের কলধবনি প্ৰমোদের স্রোতে । কত মিলনের গীত, বিরহের শ্বাস, সংসারের কোলাহল ভেদ করি আবিরল লক্ষ নবী কবি ঢালে প্ৰাণের উচ্ছস । ওই দূর খেলাঘরে খেলাইছ কারা ! উঠেছে মাথার পরে আমাদেরি তারা । আমাদেরি ফুলগুলি সেথাও নাচিছে দুলি, আমাদেরি পাখিগুলি গেয়ে হল সারা । ওই দূর খেলাঘরে করে আনাগোনা হাসে কাদে কত কে যে নাহি যায় গন । আমাদের পানে হায় ভুলেও তো নাহি চায়, মোদের ওরা তো কেউ ভাই বলিবে না । ওই-সব মধুমুখ অমৃত-সদন না জানি রে। আর কারা করিবে চুম্বন । শরমময়ীর পাশে বিজড়িত আধ-ভাষে আমরা তো শুনাব না প্ৰাণের বেদন । ܬܢ ܠ