পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৯

S bro রবীন্দ্র-রচনাবলী ক্ষুদ্র কথা, ক্ষুদ্র কাজে, ক্ষুদ্র শত ছলে, কেন তোরে ভুলাইয়া রাখি । কেন, মা, তোমারে কেহ চাহে না জানাতে মানবের উচ্চ কুলশীল— অনন্তজগৎ-ব্যাপী ঈশ্বরের সাথে তোমার যে সুগভীর মিল । কেন কেহ দেখায় না- চারি দিকে তব ঈশ্বরের বাহুর বিস্তার ! ঘোরি তোরে ভোগসুখ ঢালি নব নব গৃহ বলি রচে কারাগার। অনন্তের মাঝখানে দাড়াও, মা আসি, চেয়ে দেখো আকাশের পানেপড়ক বিমলবিভা পূর্ণ রূপরাশি স্বৰ্গমুখী কমলনয়নে । আনন্দে ফুটিয়া ওঠে শুভ্ৰ সূর্যোদয়ে দাড়াও সায়াহ্নমাঝে পবিত্র হৃদয়ে মাথাখিনি করিয়া আনত । শোনো শোনো উঠিতেছে সুগভীর বাণী, ধবনিতেছে আকাশ পাতাল ! বিশ্ব-চরাচর গাহে কাহারে বাখানি আদিহীন অন্তহীন কাল ! যাত্রী সবে ছুটিয়াছে শূন্যপথ দিয়া, উঠেছে সংগীতকোলাহল, ওই নিখিলের সাথে কণ্ঠ মিলাইয়া মা, আমরা যাত্ৰা করি চল । যাত্রা করি বৃথা যত অহংকার হতে, যাত্ৰা করি ছাড়ি হিংসাদ্বেষ, যাত্ৰা করি স্বৰ্গময়ী করুণার পথে, শিরে ধরি সত্যের আদেশ । প্ৰাণে লয়ে প্রেমের আলোক, আয়, মা গো, যাত্ৰা করি জগতের কাজে তুচ্ছ করি নিজ দুঃখশোক । জেনো, মা, এ সুখে-দুঃখে-আকুল সংসারে মেটে না সকল তুচ্ছ। আশ—