পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল তা বলিয়া অভিমানে অনন্ত তাহারে কোরো না, কোরো না অবিশ্বাস । সুখ ব’লে যাহা চাই সুখ তাহা নয়, কী যে চাই জানি না। আপনি আঁধারে জ্বলিছে। ওই ওরে কোরো ভয়, ভুজঙ্গের মাথার ও মণি | ক্ষুদ্র সুখ ভেঙে যায় না। সহে নিশ্বাস, ভাঙে বালুকার খেলাঘরভেঙে গিয়ে বলে দেয় এ নহে আব্বাস, জীবনের এ নহে নির্ভর । সকলে শিশুর মতো কত আবদার আনিছে তাহার সন্নিধানপূর্ণ যদি নাহি হল, অমনি তাহার ঈশ্বরে করিছে অপমান ! কিছুই চাব না, মা গো, আপনার তরে, পেয়েছি যা শুধিব সে ঋণপেয়েছি যে প্ৰেমসুধা হৃদয়-ভিতরে, ঢালিয়া তা দিব নিশিদিন । সুখ শুধু পাওয়া যায় সুখ না চাহিলে, প্ৰেম দিলে প্রেমে পুরে প্রাণ, নিশিদিশি আপনার ক্ৰন্দন গাহিলে ক্ৰন্দনের নাহি অবসান । মধুপাত্রে হতপ্ৰাণ পিপীলির মতো ভোগসুখে জীৰ্ণ হয়ে থাকা, ঝুলে থাকা বাদুড়ের মতো শির নত আঁাকড়িয়া সংসারের শাখা, জগতের হিসাবেতে শূন্য হয়ে হায় আপনারে আপনি ভক্ষণ, ফুলে উঠে ফেটে যাওয়া জলবিম্ব প্ৰায়এই কি রে সুখের লক্ষণ ! এই অহিফেনসুখ কে চায় ইহাকে ! মানবত্ব এ নয় এ নয় । রাহুর মতন সুখ গ্ৰাস করে রাখে মানবের মানবহৃদয় । মানবোরে বল দেয় সহস্ৰ বিপদ, প্ৰাণ দেয় সহস্ৰ ভাবনা, > br>