পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) S v9 কড়ি ও কোমল ছোটাে ফুল আমি শুধু মালা গাথি ছােটাে ছােটাে ফুলে, সে ফুল শুকায়ে যায় কথায় কথায় ! তাই যদি, তাই হােক, দুঃখ নাহি তায়— তুলিব কুসুম আমি অনন্তের কুলে। আমার এ মালা যদি লাহে গলে তুলে, নিমেষের তরে তারা যদি সুখ পায়, নিষ্ঠুর বন্ধনব্যথা যদি যায় ভুলে ! ক্ষুদ্র ফুল, আপনার সৌরভের সনে নিয়ে আসে স্বাধীনতা, গভীর আশ্বাস— মনে আনে সমুদ্রের উদার বাতাস । ক্ষুদ্র ফুল দেখে যদি কারো পড়ে মনে বৃহৎ জগৎ, আর বৃহৎ আকাশ ! যৌবনস্বপ্ন আমার যৌবনস্বপ্নে যেন ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ । ফুলগুলি গায়ে এসে পড়ে রূপসীর পরিশের মতো । পরানে পুলক বিকশিয়া বহে কেন দক্ষিনা বাতাস যেথা ছিল যত বিরহিণী সকলের কুড়ায়ে নিশ্বাস ! বসন্তের কুসুমকাননে গোলাপের আঁখি কেন নত ? জগতের যত লাজময়ী যেন মোর আঁখির সকাশ ? কঁপিছে গোলাপ হয়ে এসে, মরমের শরমে বিব্রত ! প্রতি নিশি ঘুমাই যখন পাশে এসে বসে যেন কেহ, সচকিত স্বপনের মতো জাগরণে পলায় সলাজে । যেন কার আঁচলের বায় উষায় পরশি যায়৷ দেহ, শত নূপুরের রুনুকুনু বনে যেন গুঞ্জরিয়া বাজে । মন্দির প্রাণের ব্যাকুলতা ফুটে ফুটে বকুলমুকুলে ; কে আমারে করেছে পাগল— শূন্যে কোন চাই আঁখি তুলে ! যেন কোন উর্বশীর আঁখি চেয়ে আছে আকাশের মাঝে ! `ა პა\S)