পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল চারিদিকে গুঞ্জরিছে জগৎ আকুল, সারানিশি সারাদিন ভ্ৰমর পিপাসী । ভালোবেসে বায়ু এসে দুলাইছে দুল, মুখে পড়ে মোহভরে পূর্ণিমার হাসি । পূৰ্ণ দেহখানি হতে উঠিছে সুবাস । মরি মরি, কোথা সেই নিভৃত নিলয় কোমল শয়নে যেথা ফেলিছে নিশ্বাস তনুঢাকা মধুমাখা বিজন হৃদয় । ওই দেহখানি বুকে তুলে নেব। বালা, পঞ্চদশ বসন্তের একগাছি মালা । স্মৃতি ওই দেহ-পানে চেয়ে পড়ে মোর মনে যেন কত শত পূর্বজনমের স্মৃতি । সহস্ৰ হারানো সুখ আছে ও নয়নে, জন্মজন্মান্তের যেন বসন্তের গীতি । যেন গো আমারি তুমি আত্মবিস্মরণ, অনন্ত কালের মোর সুখ দুঃখ শোক, কত নব জগতের কুসুমকানন, কত নব আকাশের চাদের আলোক । কত দিবসের তুমি বিরহের ব্যথা, কত রজনীর তুমি প্ৰণয়ের লাজ, সেই হাসি সেই অশ্রু সেই-সব কথা মধু, মুরতি ধরি দেখা দিল আজ । তোমার মুখেতে চেয়ে তাই নিশিদিন জীবন সুদূরে যেন হতেছে বিলীন ! হৃদয়-আসন কোমল দুখানি বাহু শরমে লতায়ে বিকশিত স্তন দুটি আগুলিয়া রয়, তারি মাঝখানে কি রে রয়েছে লুকায়ে অতিশয় সযতন গোপন হাদয় ! কিশোর প্রেমের মৃদু প্রদোষকিরণে আনত আঁখির তলে রাখিবে আমায় ! কত-না মধুর আশা ফুটিছে সেথায়— Σ δδ