পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ܐܶ) ܓ নতশিরে বিশ্বব্যাপী নিশা গনিতেছে মৃত্যুপল এক দুই তিন । চন্দ্র শীর্ণতর হয়ে লুপ্ত হয়ে যায়, কলধবনি ক্ষীণ হয়ে মৌন হয়ে আসে । প্রেতনয়নের মতো নিনিমেষ তারা যত সবে মিলে মোর পানে চায়, একা আমি জনপ্ৰাণী অখণ্ড আকাশে । চির যুগরাত্রি ধরে শতকোটি তারা পরে পরে নিবে গেল গগনমাঝার । প্ৰাণপণে চক্ষু চাহি আঁখিতে আলোক নাহি, বিধিতে পারে না আঁখিতারা তুষারকঠিন মৃত্যুহিম অন্ধকার । অসাড় বিহঙ্গ-পাখা পড়িল বুলিয়া, লুটায় সুদীর্ঘ গ্ৰীবা— নামিল মরাল । কর্ণরন্ধে উঠে আকুলিয়া— দ্বিধা হয়ে ভেঙে যায় নিশীথ করাল । সহসা এ জীবনের সমুদয় স্মৃতি ক্ষণেক জাগ্রত হয়ে নিমেষে। চকিতে আমারে ছাড়িয়া দূরে পড়ে গেল ভেঙেচুরে, পিছে পিছে আমি ধাই নিতি— একটি কণাও আর পাই না লখিতে । কোথাও রাখিতে নারি দেহ আপনার, সর্বাঙ্গ অবশ ক্লান্ত নিজ লীেহভারে । কণ্ঠেতে চেপেছে অন্ধকার বিশ্বের প্রলয় একা আমার মাঝারে । দীর্ঘ তীক্ষ্মক হই ক্রমে তীব্ৰ গতিবলে ব্যগ্রগামী ঝটিকার আর্তস্বরসম, সূক্ষ্ম বাণ সূচিমুখ অনন্ত কালের বুক বিদীর্ণ করিয়া যেন চলে রেখা হয়ে মিশে আসে দেহ,মন মম |