পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

kbr) ܓ রবীন্দ্র-রচনাবলী পত্ৰ বাসস্থান পরিবর্তন উপলক্ষে বকুনির বিড় বিড় গেছে থেমে-থুমে । আপনারে করে জড়ো কোণে বসে আছি। দড়ো, আর সাধ নেই বড়ো আকাশকুসুমে | সুখ নেই, আছে শান্তি, ঘুচেছে মনের ভ্রান্তি, “বিমুখা বান্ধবা যান্তি’ বুঝিয়াছি সার । কাছে থেকে কাটে সুখে গল্প ও গুডুক ফুকে, গেলে দক্ষিণের মুখে দেখা নেই। আর । কাজ কী এ মিছে নাট, তুলেছি দোকান-পাট, গোলমাল চণ্ডীপাঠ আছি ভাই ভুলি । থেকে থেকে দু-চারিটি চোখা চোখ বুলি ! পেটে খেলে পিঠে সয়” এই তো প্রবাদে কয়, ভুলে যদি দেখা হয় তবুসিয়ে থাকি । হাত করে নিশপিশ, মাঝে রেখে পোস্টাপিস ছাড় শুধু দশ-বিশ শব্দভেদী ফাকি । বিষম উৎপাত এ কী ! হায় নারদের টেকি ! শেষকালে এ যে দেখি ঝগড়ার মতো । মেলা কথা হল জমা, এইখানে দিই “কমা’, আমার স্বভাব ক্ষমা— নির্বিবাদ ব্ৰত । কেদারার ”পরে চাপি ভাবি শুধু ফিলজাফি, নিতান্তই চুপিচাপি মাটির মানুষ । লেখা তো লিখেছি ঢের, এখন পেয়েছি। টের সে কেবল কাগজের রঙিন ফানুস । আঁধারের কুলে কুলে ক্ষীণশিখা মরে দুলে, পথিকেরা মুখ তুলে চেয়ে দেখে তাই । নকল নক্ষত্ৰ হায় ধ্রুবতারা-পানে ধায়, ফিরে আসে। এ ধারায় একরাত্তি ছাই । সবারে সাজে না ভালো, হৃদয়ে স্বগের আলো আছে যার সেই জ্বালো আকাশের ভালেমাটির প্রদীপ যার নিভে-নিভে বার বার সে দীপ জ্বালুক তার গৃহের আড়ালে ! যারা আছে কাছাকাছি তাহাদের নিয়ে আছি শুধু ভালোবেসে বঁাচি, বাচি যত কাল । আশা কভু নাহি মেটে ভূতের বেগার খেটে— কাগজে আঁচড় কেটে সকাল বিকাল ।