পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SУ О তাই কবি-মানুষেরা অস্থিচর্মসার । কলমের গোলামিটা আর নাহি লাগে মিঠা, তার চেয়ে দুধ-ঘিাঁটা বহুগুণে শ্রেয় । সাঙ্গ করি এইখানে— শেষে বলি কানে কানে, পুরানো বন্ধুর পানে মুখ তুলে চেয়ো । ף"ט"ט צ 2ןףיA) সিন্ধুতরঙ্গ পুরী-তীর্থযাত্রী তরণীর নিমজন উপলক্ষে । দোলে রে প্রলয় দোলে অকুল সমুদ্র-কোলে উৎসব ভীষণ । শত পক্ষ ঝাপটিয়া বেড়াইছে দাপটিয়া আকাশ সমুদ্র-সাথে প্ৰচণ্ড মিলনে মাতে, অখিলের আঁখিপাতে আবরি তিমির । বিদ্যুৎ চমকে ত্ৰাসি, হা হা করে ফেনরাশি, তীক্ষ শ্বেত রুদ্র হাসি জড়-প্রকৃতির । চক্ষুহীন কর্ণহীন গোহহীন স্নেহহীন মত্ত দৈত্যগণ মরিতে ছুটেছে কোথা, ছিড়েছে বন্ধন । হারাইয়া চারি ধার নীলাম্বুধি অন্ধকার কল্লোলে, ক্ৰন্দনে, রোষে ত্ৰাসে, উর্ধবশ্বাসে, অট্টরোলে, অট্টহাসে, উন্মাদ গৰ্জনে, ২াগটিয়া ফুটিয়া উঠে— চূৰ্ণ হয়ে যায় টুটে— খুঁজিয়া মরিছে ছুটে আপনার কুল— যেন রে পৃথিবী ফেলি। বাসুকি করিছে কেলি সহস্ৰৈক ফণা মেলি, আছাড়ি লাঙ্গুল । যেন রে তরল নিশি টলমলি দশ দিশি আপন নিদ্রার জাল ফেলিছে ছিড়িয়া । নাই সুর, নাই ছন্দ, অর্থহীন, নির জড়ের নর্তন । সহস্র জীবনে বেঁচে ওই কি উঠেছে নোচে প্ৰকাণ্ড মরণ ?