পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Գ Տ কাছে যাই তেমনি হাসিয়া নবীন যৌবনময় প্ৰাণে— রূপ কেন রাহুগ্ৰস্ত মানে অভিমানে । প্ৰাণ দিয়ে সেই দেবীপূজা চেয়ে না চেয়ে না। তবে আর | এসে থাকি দুই জনে সুখে দুঃখে গৃহকোণে, দেবতার তরে থাক পুষ্প-অর্ঘ্যভার । পার্ক স্ট্রীট ২৩ অগ্রহায়ণ ১৮৮৭ শূন্য গৃহে কে তুমি দিয়েছ স্নেহ মানবহৃদয়ে, বিরহের অন্ধকারে কে তুমি কাদাও তারে, তুমিও কেন গো সাথে কর না ক্ৰন্দন ! প্ৰাণ যাহা চায় তাহা দাও বা না দাও, তা বলে কি করুণা পাব না ? দুর্লভ ধনের তরে শিশু কঁদে সকাতরে, তা বলে কি জননীর বাজে না বেদনা ? দুর্বল মানবহিয়া বিদীর্ণ যেথায়, মৰ্মভেদী যন্ত্রণা বিষম, সেথাও কেন গো তব কঠিন নিয়ম ! সেথাও জগৎ তব চিরমেীনী কেন, নাহি দেয় আশ্বাসের সুখ । কেন না প্ৰকাশ পায় গুপ্ত মেহমুখ ! ধরণী, জননী কেন বলিয়া উঠে না। —করুণমর্মর কণ্ঠস্বর ‘আমি শুধু ধূলি নই, বৎস, আমি প্ৰাণময়ী জননী, তোদের লাগি অন্তর কাতর !