পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসী কই চিঠি ! এল নিশা, তিমিরে ডুবিল দিশা, সারা দিবসের তৃষা রয়ে গেল মনে— । প্রকৃতির শান্তি ধীরে পশিছে জীবনে । ভিজায় কপোলতল, শুকায় বাতাসে— ক্ৰমে অশ্রু নাহি বয়, ললাট শীতল হয় আকাশে অসংখ্য তারা চিন্তাহারা ক্লান্তিহারা, হৃদয় বিস্ময়ে সারা হেরি একদিঠিআর যে আসে না আসে। মুক্ত এই মহাকাশে প্ৰতি সন্ধ্যা পরকাশে অসীমের চিঠি । অনন্ত বারতা বহে— অন্ধকার হতে কহে, “যে রহে যে নাহি রহে কেহ নহে একা— সীমাপারপারে থাকি সেথা হতে সবে ডাকি প্রতি রাত্রে লিখে রাখি জ্যোতিপত্ৰলেখা ।” ミ○びT"|マ >brbrbr বধু “বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল !”— পুরানো সেই সুরে কে যেন ডাকে দূরে, কোথা সে ছায়া সখী, কোথা সে জল ! কোথা সে বাধা ঘাট, অশথতল ! ছিলাম আনমনে একেলা গৃহকোণে, কে যেন ডাকিল রে ‘জলকে চল । কলসী লয়ে কঁখে- পথ সে বঁাকা, বামেতে মাঠ শুধু সদাই করে ধুধু ডাহিনে বঁাশবন হেলায়ে শাখা । দুধারে ঘন বন ছায়ায় ঢাকা । গভীর থির নীরে ভাসিয়া যাই ধীরে, পিক কুহরে তীরে অমিয়-মাখা । পথে আসিতে ফিরে, আঁধার তরুশিরে সহসা দেখি চান্দ আকাশে আঁকা । ܘ ܓ